ভারতের নেপোলিয়ন সম্রাট সুমদ্রগুপ্ত | গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সম্রাট সুমদ্রগুপ্ত
বহু পুরোনো এই পৃথিবীর মানচিত্রে মানবসভ্যতার ইতিহাস মাত্র কয়েক হাজার বছরের! মানুষ তার সৃজনশীল মেধার গুণে তৈরি করেছে বহু বিচিত্র সভ্যতা, সাম্রাজ্য! বহু গুণী সম্রাট/রাজা/ মহারাজা শাসন করেছে এ পৃথিবী দুর্দণ্ড প্রতাপে! কিন্তু ভয়ংকর কালের করালগ্রাসে নিমজ্জিত সবাই!
কেবল তারাই ইতিহাসে উজ্জল হয়ে আছে, যারা তাদের কর্মের গুণে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিল! ভারতবর্ষের সম্রাট সুমদ্রগুপ্ত ছিলেন এমনই এক মহান ব্যাক্তি!
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সম্রাট সুমদ্রগুপ্ত
গুপ্ত রাজবংশের শ্রেষ্ঠ শাসক সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত আনুমানিক ৩৩৫ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরােহণ করেন। তার পিতা ছিলেন প্রথম চন্দ্রগুপ্ত এবং মাতা কুমারদেবী।
তার পূর্বসূরি প্রথম চন্দ্রগুপ্ত এবং উত্তরসূরি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। বংশধর ছিল দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত তার কর্মের গুণে আজও ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে উজ্জল!
এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেন?
তার রাজ সভার কবি হরিষেণ রচিত – এলাহাবাদ প্রশস্তি, নালন্দা ও গয়ালিপি, পুরাণ, স্মৃতিশাস্ত্র, চৈনিক বিবরণ, পাঁচ ধরনের মুদ্রা ইত্যাদি উপাদান গুলোর মধ্যে এলাহাবাদ প্রশস্তি ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে ঐতিহাসিক মহলে আজও সমাদৃত।
ধারণা করা হয়, এলাহাবাদের দুর্গে রক্ষিত এই প্রশস্তি সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের দক্ষিণ ভারত বিজয়ের পর এটি রচিত হয়।
প্রশ্রস্তি গ্রন্থ কিছুটা পদ্যে ও কিছুটা গদ্যে রচিত। এই রাজ প্রশস্তি সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের শিক্ষা, রাজ্য জয় ও রাজ্যশাসন এবং ব্যক্তিগত প্রতিভা / গুণ সম্পর্কে বিশদ তথ্য প্রদান করে।
সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্য বিস্তার
প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে রাজত্ব বিজয়ে যে সকল সম্রাট খ্যাতি লাভ করেছেন, সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে স্থান পেয়েছেন।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া গাঙ্গেয় উপত্যকার একটি রাজ্যকে তিনি সর্বভারতীয় এক মহান সাম্রাজ্যে পরিণত করেন।
প্রকতপক্ষে সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং সম্রাট কুষাণ, কণিষ্কের পর এতাে বড় বিজয়ী বীর সম্রাট ভারতের ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি দেখা যায় না!
হরিষেণ রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তিতে সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের রাজ্য বিজয় সম্পর্কে জানা যায়, সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত উত্তর ভারতের নয় জন রাজাকে পরাজিত করেন। এই রাজারা হলেন অচ্যুত, রুদ্রদেব, নাগসেন, চন্দ্রবর্মণ, মতিল, নাগদত্ত, গণপতিনাগ, বলবর্মণ ও নন্দী।
এদের মধ্যে গণপতিনাগ ছিলেন মথুরার নাগবংশের রাজা, নাগসেন ছিলেন গােয়ালিয়র অঞ্চলের রাজা, অচ্যুত ছিলেন উত্তর প্রদেশের রামনগর ও রায়বেরিলি নামক এলাকার রাজা এবং চন্দ্রবর্মণের ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাকুড়া অঞ্চলের রাজা।
বাকি পাঁচ জনের সঠিক বৃত্তান্ত জানা এখনও সম্ভব হয়নি।
যাইহােক, প্রশস্তি অনুযায়ী, উত্তর ভারত বা আর্যাবর্ত জয়ের ক্ষেত্রে সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত কৌটিল্য নীতি অনুসরণ করেছিলেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন, যিনি অনেক ক্ষমতাশালী তিনি যুদ্ধ করবেন। যার প্রয়ােজনীয় অস্ত্র-শস্ত্র, অর্থ ও সেনা থাকবে তিনি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করবেন। উপরে উল্লিখিত ৯ জন রাজাকে যুদ্ধে পরাজিত করে সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত তাদের রাজ্য নিজ সাম্রাজ্যের অধীন করেন।
সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত কেবল আর্যাবর্তের রাজগণের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেই থেমে যাননি। তিনি মধ্যভারতের অরণ্য রাজ্যগুলােও তার অধীনে এনেছিলেন। এ সকল অরণ্য রাজ্য গাজীপুর, জব্বলপুর সহ প্রভৃতি অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। প্রশস্তিতে এ সংক্রান্ত তথ্য লিপিবদ্ধ আছে।
অরণ্য রাজ্যগুলো জয়ের পর সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত দক্ষিণ ভারত জয় করেন। সমুদ্রগুপ্ত দক্ষিণ ভারতের রাজ্য জয় করলেও রাজ্যগুলােকে অধিগ্রহণ করে নিজ সাম্রাজের অধীন করেননি।
রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি এবং প্রশাসনিক সুবিধা-অসুবিধার বিচারে সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত দক্ষিণ ভারতে অনেকটা ধর্ম বিজয়ীর ভূমিকা গ্রহণ করেন।
তিনি পরাজিত রাজাদের আনুগত্য আদায় করে রাজ্যগুলাে ফিরিয়ে দেন।
সভাকবি হরিষেণের বর্ণনা অনুসারে, সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত ‘গ্রহণ-পরিমােক্ষ নীতি’ অবলম্বন করত। এ নীতির অর্থ হলাে- প্রথমে গ্রহণ অর্থাৎ শত্রুকে শক্তির জোরে বন্দি করা এবং তাঁর বশ্যতা আদায়ের পর মুক্তি দেয়া।
পরাজিত রাজা রাজ্য ফিরে পেতেন কিন্তু সার্বভৌমত্ব পেতেন না।
যাইহােক, সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের অভিযান সাধারণত মধ্যপ্রদেশের দক্ষিণ ও পূর্বভাগ, উড়িষ্যা এবং দক্ষিণ ভারতের পূর্ব উপকূলের কাঞ্চী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।
এই রাজ্য গুলোর বারাে জন রাজা ও রাজ্যের নাম এলাহাবাদ প্রশস্তি সূত্রে জানা যায়, যাদের ওপর ‘গ্রহণ পরিমােক্ষ নীতি’ প্রয়ােগ করা হয়েছিল।
এরা হলেন কোশলের (দক্ষিণ কোশল ও মধ্যপ্রদেশের রায়পুর জেলা এবং উড়িষ্যার সম্বলপুর জেলা) মহেন্দ্র, মধ্য ভারতের বনাঞ্চল, ব্যাঘ্ররাজ, মধ্যপ্রদেশের শােনপুর জেলা, মন্তরাজ, গঞ্জাম জেলার কোটুর, স্বামীদত্ত, অন্ধ্রের গােদাবরী জেলা, মহেন্দ্রগিরি, ভিজাগাপট্টম জেলা, দামন, কাঞ্চির (তামিলনাড়ুর কাঞ্চিভরম জেলা), বিষ্ণুগােপ, কৃষ্ণা গােদাবরী জেলার ইলাের, হস্তিবর্মণ, আরামকুটের নীলরাজ, পল্লাকের (নেল্লোর জেলা) উগ্রসেন, দেবরাষ্ট্রের (সম্ভবত: ভিজাগাপট্টম), কুবের এবং কুস্থলপুরের ধনঞ্জয়।
সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের রাজ্য বিস্তার নীতি
সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের দ্বিমুখী নীতির ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকজন রাজা বা গােষ্ঠীপতি সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
এদের মধ্যে সমতট (দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা), ডবাক (আসামের নওগাঁ জেলা ও বাংলাদেশের ঢাকা জেলা), কামরূপ (উত্তর আসাম), নেপাল ও কর্তৃপুর (এই এলাকাটা সনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয় নি) উল্লেখযােগ্য।
অপরদিকে উত্তর পশ্চিম ভারতে রাজগণ, পশ্চিম পাঞ্জাব ও আফগানিস্তানের কৃষান রাজগণ ও সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
এছাড়াও পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত শতদ্রু নদীর উভয়ের তীরের বাসিন্দা যৌধেয়, পূর্ব রাজপাতানা ও মান্দাসর এলাকার মালব, আলোয়ারের অর্জুনায়ন, রাজস্থানের জয়পুর ও মধ্য প্রদেশের সাঁচী এলাকার আবীর, ভিলসার কাক জাতি ও খরপড়ীক ও সম্রাট সমুদ্র গুপ্তের আনুগত্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
প্রশশ্তি অনুযায়ী সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত কনৌজ হতে সমস্ত অভিযান পরিচালনা করেন। আর্যাবর্তের সমস্ত রাজাকে পরাজিত করে তিনি ”সর্বরাজাচ্ছেত্তা” উপাধী গ্রহন করেন।
হরিষেনের মতে পরাজিত রাজ গণ করপ্রদান করে, আদেশ পালন করে ও বশ্যতা স্বীকার করে সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের নির্দেশ পালন করত।
সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্য ছিল প্রভূত্ব স্বায়ত্তশাসনের এক অপূর্ব সমন্বয়। দিগ্বিজয় সম্পন্ন করে তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেন এবং এই যজ্ঞের স্মৃতিরক্ষার জন্য স্বর্ণ মুদ্রা প্রচলন করেন।
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও গবেষক ডক্টর রমেশ চন্দ্র মজুমদার প্রত্যক্ষ ও কর দেওয়া রাজ্য মিলিয়ে সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের রাজ্য সীমা ধরেছেন কাশ্মীর, পশ্চিম পাঞ্জাব ,পশ্চিম রাজপুতানা, সিন্ধু গুজরাট ব্যতীত সমগ্র উত্তর ভারত এবং দক্ষিণে উড়িষ্যায় ছত্রিশগড় হয়ে পূর্ব উপকূল ধরে তামিলনাড়ুর চিঙ্গেলকোট জেলা পর্যন্ত।
এছাড়া সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যসীমার বাইরে প্রতিবেশিরাও তার পরাক্রম অনুভব করে দ্রুতই তার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন। অর্থাৎ সাম্রাজ্যের বাইরেও তার প্রভাব বলয় ছিল।
ডক্টর স্মিথ সম্ভবত এই কারণেই সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত কে ভারতের নেপোলিয়ন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ভারতের কিছু ঐতিহাসিক গন মনে করেন, সমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত ভারত মহাভূমিকে একশাসনে আবদ্ধ করাই ছিল সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের লক্ষ্য।
অনেকে সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের রাজ্য জয়ের মধ্যে ব্রাহ্মাণ্য ধর্মের সম্রাজ্যবাদ লক্ষ্য করেছেন। অধ্যাপক রোমিলা থাপারের দৃষ্টিতে ,সমুদ্রগুপ্ত সারা ভারতে ব্রাহ্মণ্যসভ্যতার ধ্বজা উড়িয়ে দেন।
তবে বেশিরভাগ পন্ডিত/গবেষক দের মতে সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন ধর্মজয়ী বীর।
সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের গ্রহণ পরিমোক্ষ নীতি
গ্রহণ -পরিমোক্ষ নীতি অনুযায়ী তারা বলেন, সমুদ্র গুপ্তকে সাম্রাজ্যবাদী বা আগ্রাসী বলা যুক্তিযুক্ত নয়। সমগ্র ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপন অর্থাৎ অখন্ড ভারত সৃষ্টির উদ্দেশ্যই ছিল সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের প্রধান উদ্দেশ্য।
যাইহোক, এ কথা বলা প্রয়োজন যে গুপ্ত সাম্রাজ্যের উদ্ভব একটি বিশেষ ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে হয়েছিল। কুষাণ সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতের রাজনীতিতে যে শক্তিশূন্যতা দেখা দেয় গুপ্ত সাম্রাজ্য তা দুর করেন।
এলাহাবাদের শিলালিপি অনুযায়ী জানা যায়, সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধীকারী। তিনি গান গাইতে ও বীনা বাজাতে পারতেন। ছিলেন একজন রসিক ব্যাক্তির মত!
কিছু স্বর্ণ মুদ্রায় তাকে পালঙ্কের উপরে বীনাবাদক রূপে দেখা যায়। কবিতা রচনাতেও তার যথেষ্ট পারদর্শিতা ছিল। শিলালিপির বর্ণনা মতে, সম্ভবত তিনি প্রথম শ্রেনির অজস্র কবিতা লিখেছিলেন।
কিন্তু সেগুলো কালের অতল গহ্বরে হাড়িয়ে গেছে, যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে!
সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক হবার কারণ
অশোকের মতই সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত পরাক্রমের সাহায্য রাজ্য জয়ের পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু উভয়ের পরাক্রম ও দিগ্বিজয়ের মধ্যে ছিল আকাশ- পাতাল ব্যাবধান।
একজনের অস্ত্র হলো ন্যায়, ধর্ম ও পরোপকারিতা এবং অপরজনের অস্ত্র, সামরিক শক্তি ও বুদ্ধি। অশোক আধ্যাত্মিক শক্তিতে শক্তিমান আর সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত প্ত বাহুবলে বলিয়ান।
যেমন অশোকের ব্যক্তিত্বকে কেউ অস্বীকার করতে পারেনা, ঠিক তেমনি সমুদ্রগুপ্তের প্রাধান্য স্বীকার না করে উপায় নেই! সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত কেবল দিগ্বিজয়ী যুদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন একজন সুদক্ষ শাসক। ইতিহাসে তার মিত্রতা মূলক নীতি, কূটনৈতিক জ্ঞানেরই পরিচয় দেয়!
সম্রাট সমূদ্রগুপ্ত তার সামরিক প্রতিভা এবং কূটনৈতিক শক্তিতে সমগ্র ভারতব্যাপী রাজনৈতিক একতার সূত্রপাত ঘটান।
বহুমুখী প্রতিবাভান এই সম্রাট ভারতকে এক সুতোয় মালায় গাঁথবার চেষ্টা করে কিছুটা সফল হয়।
তুলনামূলকভাবে অশোকের ধর্ম বিজয় অপেক্ষা সুমদ্রগুপ্তের সামরিক বিজয় কম গৌরবের নয়! অশোকের ধর্মনীতি কর্মনীতি ও বাস্তব বুদ্ধির মতই সমুদ্রগুপ্তের উদারতা, বিদ্যোৎসাহিতা, সহিষ্ণুতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শীতা প্রসংশনীয়।
কথিত আছে বিখ্যাত বৌদ্ধ পন্ডিত বসুবন্ধু তার মন্ত্রী ছিলেন। বহু শিলা লিপির পাঠোদ্ধার করে জানা যায়, তিনি ব্রাক্ষনধর্মের পৃষ্ঠপোষক হয়েও বৌদ্ধ, জৈন বা অন্য কোনো ধর্মের প্রতি সহিংস আচরণ কখনো করেন নি।
সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন সাধুদের রক্ষাকর্তা,আর অসাধুদের জন্য প্রলয়। হরিষেনের মতে, তৎকালীন প্রজাগণ সমুদ্র গুপ্তকে মানুষের রুপে দেবতাতূল্য অচিন্তপূরুষ বলে আখ্যায়িত করত।
ভারতবর্ষের এই মহান সম্রাট সুমদ্রগুপ্ত ৩৮০ খ্রিস্টাব্দের দিকে তাঁর মৃত্যু বরণ করেন।
Pingback: পৃথ্বীরাজ চৌহান : ভারতবর্ষের শেষ হিন্দু সম্রাট! Prithviraj Chauhan...পৃথ্বীরাজ চৌহান : ভারতবর্ষের শেষ হিন্দু
Pingback: প্রথম অস্ত্রোপচারের জনক মহর্ষি সুশ্রুত
Pingback: মুঘলদের কট্টর শত্রু ছিলেন বাপ্পা রাওয়াল |
Pingback: সম্রাট বিক্রমাদিত্যের বিক্রমী ইতিহাস | বেতাল পঁচিশি |
Pingback: বিখ্যাত হিন্দু বীর বাপ্পা রাওয়াল | বাপ্পা রাওয়ালের ইতিহাস