কিন্তু ভয়ংকর নিষ্ঠুর কাল, তার করালগ্রাসে গ্রাস করেছ সবাইকে! কেবল তাদেরই গৌরবময় ইতিহাস মনে রেখেছে পৃথিবী যারা তাদের আপন শৌর্য / বীর্যের গুণে আলোকিত করে গেছেন প্রকৃতিকে! সম্রাট অশোক ছিলেন এমনই এক মহান মানুষ।
মহান প্রজাহিতৈষী সম্রাট অশোক সম্পর্কে সংক্ষেপে বলার জন্য বিশ্বখ্যাত লেখক এইচ, জি, ওয়েলসের উক্তিই যথেষ্ট! তার ‘ইতিহাসের কাঠামো’ বইতে সম্রাট অশোক সম্পর্কে লিখেছেন,
“ইতিহাসের প্রতি পৃষ্ঠায় ভিড় করে রয়েছে যেসব রাজা রাজাদের নাম, তাদের মধ্যে সম্রাট অশোকের নামের দীপ্তি নক্ষত্রের সমান!”
মহান ভারতবর্ষের মৌর্য রাজবংশের তৃতীয় সম্রাট বলা হয় সম্রাট অশোককে। সম্রাট অশোক ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পৌত্র।
সম্রাট অশোকের জন্ম
খ্রিষ্টপূর্ব ৩০৪ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন সম্রাট অশোক।
সম্রাট বিন্দুসার তার পিতা ও রানী ধর্মা (মতান্তরে সুভদ্রাঙ্গী) তার মাতা। উত্তর ভারতের কিছু ঐতিহাসিক সুত্র মতে সম্রাট অশোকের মাতা চম্পাদেশীয় রাজকন্যা ছিলেন। আর দক্ষিণ ভারতীয় কিছু ঐতিহাসিক মতে তাঁর মায়ের নাম ছিল ধর্মা । মাত্র ১৮ বৎসর বয়সে পিতা বিন্দুসার তাঁকে উজ্জ্বয়িনীর শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। তক্ষশীলাবাসী তৎকালীন কিছু রাজকর্মীদের অত্যাচরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে, তক্ষশীলায় বিদ্রোহ শুরু হয়। আর তখনই বিন্দুসার তাঁকে তক্ষশীলায় পাঠান প্রজাদের বিদ্রোহ দমনে।
অশোক এই বিদ্রোহ সফলভাবে দমন করার পরে, পিতা বিন্দুসার তাঁকে তক্ষশীলার শাসনভার অর্পন করেন। এই সময় তিনি মহাদেবীকে বিবাহ করেন।এখানে কিছু ঐতিহাসিক উল্লেখ করেছেন, এরমধ্যে বিন্দুসার-এর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর পুত্রদের মধ্যে সিংহাসনের দখল নিয়ে রক্তাক্ত দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সম্রাট অশোক অন্যান্য ভাইদের পরাজিত ও হত্যা করে সিংহাসন দখল করেছিলেন।
কিন্তু প্রশ্ন: যাকে পূর্বেই পিতা বিন্দুসার তক্ষশীলায় মত তৎকালীন সুন্দর ও পন্ডিত ব্যাক্তিদের রাজ্যের ভার দিয়েছিলেন, সেই অশোক কেন বিদ্রোহ করবে? আর বিভিন্ন প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করে অশোকের জীবনের যে তথ্য পাওয়া যায় সেটা অশোকের নির্মম না বরং মহান গুণী সম্রাট হিসাবে গণ্য করে! যাইহোক, ধারণা করা হয়, সম্রাট অশোক খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে সিংহাসন লাভ করেছিলেন। কিন্তু বেশকিছু প্রমাণে পাওয়া যায়, তাঁর সম্রাট হিসেবে অভিষেক হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ২৬৮ / ২৬৯ অব্দের দিকে।
সম্রাট অশোক ছিলেন প্রথম কোনো ভারতীয় শাসক, যিনি এই উপমহাদেশের অনেকখানি জুড়ে তাঁর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই সাম্রাজ্যের মধ্যে ছিল সমগ্র উত্তর ও মধ্য ভারত, এমনকি মধ্য এশিয়ার কিছুটা অংশ। তাঁর সময়ে পুণ্ড্রবর্ধন (বর্তমানে বাংলাদেশের বগুড়া) মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ ছিল। সম্ভবত বিন্দুসার অথবা তাঁর পুত্র ও অশোক এ অঞ্চলকে মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। পাটলীপুত্র (বর্তমানে ভারতের পাটনা অথবা এর কাছাকাছি কোনো স্থান) থেকে নিজের বিশাল সাম্রাজ্য শাসন করতেন সম্রাট অশোক।
রাজধানী পাটলীপুত্র ছিল নয় মাইল ব্যাপী চমৎকার মনোরম এ সুন্দর একটি নগরী। নগরীর চারদিক ঘিরে ছিল ৬৪ টি বিরাট সিংহদ্বার, এছাড়াও আরো কয়েকশত ছোটো ছোটো প্রবেশদ্বার ছিল। বাড়িঘর বেশীরভাগ ছিল কাঠের তৈরি। আগুন লাগবার আশঙ্কা ছিল বলে এ বিষয়ে বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা ছিল। প্রধান রাস্তায় হাজার হাজার জলপাত্র সারাক্ষণ বিশুদ্ধ জলে ভর্তি করে রাখা হত।
সম্রাট অশোকের ক্ষমতা আহোরণের পর
নিজের শাসনের প্রথম পর্বে সম্রাট অশোক উপমহাদেশের প্রায় বেশির ভাগ অংশে তাঁর রাজ্যের সীমানা বর্ধিত করেন। সিংহাসনে আহোরণের নবম বৎসরের দিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব ভারতের অন্যান্য অংশগুলো রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসার সংকল্প নিয়ে অশোক কলিঙ্গবিজয় আরম্ভ করলেন।
ভারতের পূর্ব উপকূলে কলিঙ্গদেশ বর্তমানে ওরিষ্যা নামে পরিচিত। কলিঙ্গবাসীরা যুদ্ধ করলো বীরের মতো, কিন্তু অশোকের পরাক্রমশালী সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে টিকতে পারল না!
রক্তক্ষয়ী কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোকের রাজনৈতিক, নৈতিক ও মানষিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বৃহৎ পরিবর্তন আসে! এই যুদ্ধে কলিঙ্গবাসীরা সর্বশক্তি দিয়ে অশোকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরও পরাজিত হয়!
এই যুদ্ধে প্রায় এক লক্ষ নরনারী প্রাণ হারায় এবং প্রায় দেড়লক্ষ নরনারী বন্দী হয়!
এই যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ সম্রাট অশোককে বিষাদগ্রস্থ করে তোলে। এক ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর বিজয় অর্জিত হলো। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসতা অশোকের মনে তীব্র আঘাত করলো যে, তিনি যুদ্ধ ও সকলপ্রকার সামরিক কার্যকলাপের প্রতি বিতৃষ্ণা/অবসাদ জন্মে গেল। সম্রাট অশোক যুদ্ধের এই ভয়াবহতা দেখে নিজের ভেতর এক বিষাদ অনুভব করলেন। এত রক্তপাত আর হত্যাকান্ডের বিনিময়ে অর্জিত সাম্রাজ্যের প্রতি নিরাসক্ত বোধ করলেন। এরপর তিনি আর যুদ্ধ করেননি। দক্ষিণ ভারতের এক ক্ষুদ্র অংশ বাদে সমগ্র ভারত ছিল তার অধীন।
আর এই ক্ষুদ্র ভূখণ্ডটিও তিনি অনায়াসে জয় করতে পারতেন, কারণ, যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ জয় তার অপ্রিয় হয়ে উঠেছিল! এইচ, জি, ওয়েলসের লিখেছেন, বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় তিনিই একমাত্র সম্রাট যিনি বিজয়লাভ সত্ত্বেও যুদ্ধবৃত্তি ত্যাগ করতে পেরেছিলেন।
সম্রাট অশোকের প্রস্তরলিপি ও স্তম্ভলিপির মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, কী করে কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ তাঁকে একজন নীতিবান ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে! তখন থেকেই তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে বিশ্বশান্তি ও ন্যায়নিষ্ঠ শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
সম্রাট অশোকের কৃতিত্ব ও জনহিতকর কাজ
১৮৩৭ সালে সম্রাট অশোকের বেশ কয়েকটি প্রস্তরলিপি উদ্ধার করে, সে ভাষার অনুবাদ বের করেন বিখ্যাত ইংরেজ পণ্ডিত, ইতিহাসবিদ, প্রত্নতাত্ত্বিক ও বিশিষ্ট ভারত তত্ত্ববিদ জেমস প্রিন্সেপ।
তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, পুরাণ সাহিত্যে বর্ণিত সম্রাট অশোককে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বড় মাপের সম্রাট ছিলেন তিনি।
প্রিন্সেপই প্রথম প্রকাশ করেন, সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং বৌদ্ধধর্ম প্রচার করতেন। সম্রাট অশোক ধর্ম পালনে মন্ত্র উচ্চারণ আর পূজা অর্চনার মধ্যে নিমগ্ন ছিলনা, মহৎ সামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি মনোনিবেশ করলেন। দেশজুড়ে নির্মিত হলো বাগান, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট।
তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করার পর দেবনামপিয় পিয়দসি (দেবতাদের প্রিয়জন) শীর্ষক ধর্ম রাজকীয় উপাধি গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষ সময় পযর্ন্ত নিজেকে শান্তি ও মানবজাতির কল্যাণের কাজে নিবেদিত করেন। তখন তিনি যুদ্ধের ভয়াবহ পথ ত্যাগ করে, অহিংসার পথে সাম্রাজ্য পরিচালনার নীতি গ্রহণ করেন! এরপর বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বিশেষভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন এবং উপগুপ্ত নামক এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর নিকট দীক্ষা নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। তারপর থেকে তিনি অহিংসা নীতি নিয়ে সাম্রাজ্য পালন করতে থাকেন।
সম্রাট অশোকের কৃতিত্ব
সম্রাট অশোক তাঁর গুরু উপগুপ্তকে সাথে নিয়ে তৎকালীন ভারতবর্ষের মনোরম স্থান কপিলাবস্তু, লুম্বিনী, কুশীনগর, বুদ্ধগয়া, সারনাথ- সহ নানা স্থানে ভ্রমণ করেন এবং সেইসাথে অহিংসা নীতি সহকারে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করেন। এই সময় তিনি নানা স্থানে স্তম্ভ এবং পাহাড়ের গায়ে বুদ্ধের বাণী লিপিবদ্ধ করে রাখার ব্যবস্থা করেন। প্রজাদের কল্যাণের জন্য তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এমনকি তিনি পশু/পাখিদের চিকিৎসালয় ও তৈরী করেন।
পানীয় জলের কষ্ট দূর করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গভীর জলাশয় ও কূয়ো তৈরি করে দেন। নারীশিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। বিশাল চারটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়, সেখানে তৎকালীন জ্ঞানের সর্বোচ্চ পাঠদান করা হতো।
অশোক কে কেন শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা হয়?
প্রজাবৎসল / শান্তিপরায়ণ অশোকের এই অহিংস নীতির কারণে, তাঁর সাথে প্রতিবেশী সকল রাজ্য এবং গ্রিকদের সাথে বিশেষ সু সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি সিরিয়া, মিশর, সিংহল, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, নেপাল প্রভৃতি দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য প্রতিনিধি পাঠান ও অহিংস নীতিতে রাজ্য পালনের অনুরোধ করেন। ধর্মীয় প্রচারের জন্য তিনি রাজুক, যুত এবং মহাপাত্র নামক পদের সৃষ্টি করেছিলেন। এঁরা অশোকের ধর্মনীতিকে প্রচার করতেন। এছাড়া রাজকর্মচারীদের দ্বারা সাধারণ মানুষ যাতে অত্যাচারিত না হয়, তার জন্য ধর্মমহাপাত্র নামক পদ তৈরি করে কিছু কর্মচারী নিয়োগ করেছিলেন।
এভাবে প্রজাদের উন্নতির জন্য কাজ করে করে প্রায় ৩৬ বছর রাজত্ব করে ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক মৃত্যুবরণ করেন। সাম্রাজ্যের সর্বব্যাপী লোভ ও বিলাসিতার ভেতর থেকে নিজেকে মুক্ত করে ভালোবাসা আর প্রজাপালনের পথ তিনি বেছে নিয়েছিলেন। তাই ইতিহাসের পাতায় সম্রাট অশোকের নাম তাই লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। অশোক ছিলেন একজন অসাধারণ প্রজাহিতৈষী সম্রাট। তিনি সম্রাট হয়েও ছিলেন মহৎ ও পরম শ্রদ্ধার ব্যাক্তি।
সম্রাট অশোকের শিলালিপি
অশোক ধর্মীয় ও অহিংসাপরায়ণ বাণীগুলো পাহাড়ের গায়ে, পাথরের স্তম্ভে, পর্বতগুহায় লিপিবদ্ধ করে রাখার ব্যবস্থা করেন। এই সকল বাণী লেখা হয়েছিল ব্রাহ্মীলিপি ও খরোষ্ঠীলিপিতে।
অবশ্য ব্রাহ্মীলিপির আদিপাঠগুলো সম্রাট অশোকের নির্দেশে স্থাপিত হয়েছিল বলে, অনেকে এই লিপিকে অশোকলিপি নামেই অভিহিত করেছেন।
অশোকস্তম্ভ | সম্রাট অশোকের অনুশাসন স্তম্ভ
চারটি সিংহের মুখযুক্ত একটি একক মূর্তি। এই সিংহ চারটির পিছনের অংশ একত্রে যুক্ত থাকে এবং মুখগুলো চারটি দিকে নির্দেশ করে।
এর ফলে যে কোন দিক থেকে তিনটি সিংহের মুখ দেখা যায়। এই চারটি সংযুক্ত সিংহমূর্তি একটি উল্টানো পদ্মফুলের উপরে স্থাপিত থাকে।
এই বেদীর পাশে বরাবর খোদাই করা আছে চারটি প্রাণীর মূর্তি। এই প্রাণীগুলো হলো― একটা হাতি, একটি দৌড়ানো ঘোড়া, একটা ষাঁড় এবং একটি সিংহ।
এই চারটা প্রাণীর মাঝে রয়েছে একটি করে চক্র। এই চক্রকে বলা হয় অশোক চক্র বা ধর্ম চক্র।
অশোকস্তম্ভকে বর্তমানে ভারত প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক করা হয়েছে।
অশোক চক্র বা ধর্ম চক্র
অশোক চক্রের কেন্দ্র থেকে ২৪টি শলাকা, সাইকেলের চাকার মতো বৃত্তাকারে ছড়ানো। তবে এই শলাকাগুলো এর পরিধির সাথে যুক্ত থাকে না।
এই শলাকাগুলো ২৪টি বিষয়ের প্রতীক হিসেবে নির্দেশ করে।
Pingback: প্রথম অস্ত্রোপচারের জনক মহর্ষি সুশ্রুত
Pingback: বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ইতিহাস ঐতিহ্য
Pingback: রাজা প্রতাপাদিত্য | বাংলার শিবাজী | বাংলার বারোভুঁইয়া ও রাজা প্রতাপাদিত্য
Pingback: বেদের আলোই বিজ্ঞানের আলো | বিজ্ঞানের সৃষ্টি বেদ থেকে | ঋষিদের আবিস্কার | সনাতন ধর্ম ও বিজ্ঞান - shivrupi
Pingback: ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের ইতিহাস | History of the spread of Christianity in India - shivrupi
Pingback: ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের ইতিহাস | খ্রিষ্ট ধর্মের ইতিহাস - shivrupi
Pingback: কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র | কৌটিল্য কে ছিলেন?