ইতিহাসআলোচিত সংবাদ

তাজমহল | তেজ মহালয় থেকে তাজমহলের ইতিহাস | আগ্রার তাজমহল সম্পর্কে অজানা তথ‍্য

Spread the love
তাজমহলের  ছবি
তাজমহলের ছবি

সনাতনী প্রাচীন মন্দির ধ্বংস করে গণিমতি পদ্ধতিতে তৈরি তাজমহল! আপনি কি জানেন তাজমহল তেজোমহালয় শিব মন্দির ভেঙ্গে সেটিকে ট্রিক আর্টের দ্বারা  নির্মাণ করা হয়েছিলো শাহাজাহানের দ্বারা, এর ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সভ্যতার চিহ্ন ও সংস্কৃতি ওম, ত্রিশূল শিল্পকলার মধ্যে আছে,কোন আসল ইসলামিক স্মৃতি সৌধে থাকে না, একে বলে চুরি করে, লুটে তাদের ওপরে নিজের প্রতিষ্ঠা সারা বিশ্বে জাহির করে গেছে।

আমেরিকার বিজ্ঞানী প্রফেসর মারভিন মিলস্ ইনি সেই প্রফেসর যিনি তাজমহলের একটা দরজার কার্বন ডেটিং টেস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন সেটা শাহজাহানের জন্মের আগের স্থাপত্য।ইন্টারভিউয়ের শুরুতেই তিনি বলছেন সেটা একটা মন্দির ছিলো, দেখুন ভিডিও !

এ বিষয়ে আমাদের আজকের আলোচনা!

আমাদের পূর্বের আর্টিকেল : সম্রাট অশোক

১) তাজমহলের নাম শাহাজাহান কিংবা  ঔরংজেবের কোন সরকারী কাগজে ছিলো না, নাম অবধি উল্লেখ নেই, তাই তাজ-ই-মহল বলা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়।

তাজমহলের ছবি
তাজমহলের ছবি

২)’মহল’ কথাটি বিশুদ্ধ সংস্কৃত শব্দ, ৫৮ টি মুসলিম দেশে কোন ইসলামিক নির্মাণে এর উল্লেখ নেই।

৩)শাহাজাহানের এক বউ মমতাজের আসল নাম ছিলো মুমতাজ-উল-জামানি, তাই মমতাজ মহল বলে কিছু হতে পারে না, কেউ বউ এর নামে বাড়ির নামকরণ করতে গেলে প্রথম “মুম” নামটা বাদ দেবে ?

৪)অনেক ইউরোপিয়ান ভ্রমণকারী জ্ঞানী ব্যক্তি তাজমহল সম্বন্ধে একবাক্য ও লেখেনি, যদি এরকম কোন স্মৃতি সৌধ বানানো হচ্ছিলো এর বছর ধরে সাধারণ লোকের মুখ থেকেই শুনতে পারতেন, উল্টে তেজোমহালয় শিব মন্দিরের উল্লেখ পায়, শাহাজাহান/ ঔরঙ্গজেব সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করতেন না, হঠাৎ এক বউ এর জন্যে সংস্কৃতনাম বাড়ি করতে যাবে ?? তাও আবার পবিত্র ‘কবরখানা’ কে !!!

তাজমহলের ভিতর মমতাজের কবর
তাজমহলের ভিতর মমতাজের কবর

৫) যদি তাজ মুমতাজের কবরখানা হয় তাহলে “মহল” কিভাবে নাম হলো ?

৬) যদি মমতাজের কবর থাকতো তার ওপর এতো বড় নির্মাণ করা হতো না ,  স্মৃতি শৌধ তৈরি হতো ।

৭)তাজমহলের নাম সংস্কৃত শব্দ তেজোমহল থেকে এসেছে যার অর্থ শিবমন্দির, আগ্রেশ্বর মহাদেব বলে তাজমহলের জায়গায় পূজিত হতো, পরবর্তীকালে ঐ জায়গা ভাঙ্গা হয় ।

৮)মারবেলের সিড়ি দিয়ে উঠতে গেলে জুতো খুলে উঠতে হয় কারণ এটা শাহাজাহানের পূর্বতন মন্দির মান্যতা, কবরে জুতো খুলে আসতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই ।

৯)উপরের অংশে মার্বেলের ওপর ১০৮ নাম্বার খোদাই করা আছে, যেটা হিন্দু পবিত্র সংখ্যা, এটা ইসলামিক বিরোধী নীতি, এর অর্থ মন্দির ভেঙ্গে কিছু অংশ এদিক ওদিক লাগানো হয়েছে ।

১০) তাজমহলের বেসমেণ্টে এরকম অনেক নির্দশন পাওয়া গেছে, শিবলিঙ্গর ভাঙ্গা অংশের প্রতিচ্ছবি পাওয়া গেছে, মমতাজের কবর যদি সত্যি থাকতো এইসব হতো না ।১১)তাজমহলের পুরো বাহ্যিক ধরণ বিশ্বের বৃহত্তম অঙ্করভাট মন্দিরের মত, যদি সত্যি কবর থাকতো বা ইসলামিক নিয়ম থাকতো মন্দিরের বাহ্যিক কাঠামো হতো না, মন্দিরের বাহ্যিক রুপকে এক রেখে ভাঙ্গাচুরার কাজ করে গেছে জিহাদী জঙ্গীরা ।

১২) যারা তাজমহলের দেখভাল, রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত তারাও বেসমেণ্টে কালো শিবলিঙ্গের সন্ধান পেয়েছে , দেওয়ালের সাথে গাঁথা, লাল পাথর একদম নীচে বিদ্যমান, প্রতত্ব বিভাগ এইসব খবর লুকিয়ে যায় ।

তাজমহল ও তাজ মহলের ভেতরের ছবি
তাজমহল ও তাজ মহলের ভেতরের ছবি


তেজ মহালয় থেকে তাজমহলের ইতিহাস 

১৩) ১২ তম জ্যোতির্লিঙ্গ হলো এই তেজোমহালয় যাকে প্রাচীনকালে নাগনাথেশ্বর বলা হতো, শিবলিঙ্গে সর্বদাই সাপ জড়িত থাকে, শাহাজাহান এটা দখলের পর মন্দিরের জৌলুস কমে যায় ।

১৪) তেজোমহলে ঢোকার নিয়ম জুতো ছেড়ে যেটি শাহাজাহানের বহু পূর্ব থেকে প্রচলিত কারণ এটি মন্দির ছিলো, যদি এটি সত্যি মমতাজের কবরখানা হতো জুতো খোলার রাখা নীতি মানতে হতো না কারণ ইসলাম অনুযায়ী এরকম কোন জুতো খোলার নিয়ম নেই ।

১৫)বিখ্যাত শাস্ত্র বিশ্বকর্মা বাস্তুশাস্ত্রে তেজ-লিঙ্গের বর্ণণা আছে যার অর্থ হলো শিব-লিঙ্গ, এরকম তেজ-লিঙ্গ এইখানে স্থাপিত ছিলো তাই প্রাচীননাম ছিলো তেজো-মহালয় ।

১৬) আগ্রা শহর যেটি তাজমহলের অবস্থান কেন্দ্র এটি শিব উপাসকের স্থান, বহু প্রাচীনে এখানকার অধিবাসীরা শিবের আরাধনা করতো বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে রাত্রের খাদ্য গ্রহণ করার আগে পাঁচ শিব লিঙ্গের আরাধনা করতো যথাঃ- বালকেশ্বর,পৃথিবীনাথ, মনাকামেশ্বর,রাজারাজেশ্বর ও তেজোমহালয়, তেজোমহালয় ধ্বংস করার পর এখন সেই শিবলিঙ্গের উপাসনা হারিয়ে যায়, আগ্রার মূলকূল দেবতা কোবরা সাপ, যেটি আবার শিবের অন্যতম অংশ। তেজোমহালয়ের অস্তিত্ব বোঝা যায় ।

১৭) আগ্রা শহরে প্রাচীনকাল থেকে জাট জাতিদের আধিপত্য ছিলো যাদের অধিষ্ঠাতা শিবকে তেজাজী বলা হতো, তেজা মন্দির ছিলো, তেজলিঙ্গ ও তার সাথে তেজোমহালয়ের কথা বোঝা যায় ।

১৮) শাহাজাহান নিজের জীবন রচনা বাদশাহনামা (vol 1, 403)লিখেছে যে এক বিরাট গম্বুজ ও স্মৃতি সৌধ জয়পুরের রাজা জয় সিং এর এলাকা থেকে নেওয়া হয়েছিলো মমতাজের কবরের জন্যে, সেটির নাম হয়েছিলো রাজা মান সিং হাভেলী ।

১৯) মমতাজের আসল নাম ছিলো মুমতাজ-উল-জামানী, আমাদের শেখানো হয় যে ১৬৩১-১৬৫৩ অবধি নাকি তাজমহলের নির্মাণ হচ্ছিলো কিন্তু ফরাসী পর্যটক টাভেরনিয়ার নিজের গ্রন্থের এর উল্লেখ করলো না, এত বছর ধরে কোন কিছু নির্মাণে আশেপাশের লোক খবর জানবে না একি সম্ভব ছিলো ?
তাজমহল হিসেব মতো শাহাজাহানের মোঘলদের সম্পত্তি বা ওয়াকফ বোর্ডের হওয়া উচিত ছিলো যদি সত্যি মমতাজের কবরের ওপর এটি নির্মাণ করানো হতো ।

২০) জয়পুরের রাজা মান সিং এতো গদ্দার ছিলো যে শাহাজাহানের কথা মতো বিশাল মার্বেলের আখড়া পাঠিয়েছিলো তেজোমহালয় ভেঙ্গে সারাই করে মন্দির গায়েব করে তাজমহল নির্মাণের জন্যে, সেটি নিজের গোপন গ্রন্থ কপাডদ্বারে উল্লেখ আছে ।

২১)ঔরঙ্গজেবের শাহাজাহান কে লেখা বিভিন্ন পত্র যা বই হিসেবে আছে তাতে লেখা আছে মমতাজের কবরের স্মৃতি সৌধ যেটা ৭ তলা ছিলো তা ভেঙ্গে পড়ছে, পুরোনো হয়ে যাচ্ছে, ফাটল দেখা দিচ্ছে, তাই ঔরঙ্গজেব নিজের অর্থে সারাই করছেন। তাজমহল যদি সত্যি বানাতো নতুন করে শাহাজাহান তাহলে এতো তাড়াতাড়ি অবক্ষয় হতো না ।

২২) গাদ্দার মান সিং এর ছেলে জয় সিং এর কাছে যখন মার্বেলের বিশাল অর্ডার, স্টোণ কাটার মেশিন আবার চাওয়া হয়, গুপ্তচরের মাধ্যমে জানতে পারে যে শিব মহালয়/ তেজো মহালয়কে ভেঙ্গে নকল কাজকর্ম চলছে ও কোরান শরীফের আয়াত লেখা হবে এমন কাজ চলছে তিনি একদম মানা করে দেন, ফলস্বরূপ জয় সিং গ্রেপ্তার হয় ।

২৩)  ফরাসী সোনা ব্যবসায়ী টাবেরনিয়ার শাহাজাহানের আমলে এসেছিলেন, তিনি লিখেছেন যে মমতাজকে যেখানে কবর দেওয়া হয়েছিলো সেখানে অনেকে যেতো কিন্তু সেই অংশ তাজমহল কিংবা আগ্রার কোন অংশ নেই।
এটাই প্রমাণ করে ২২ বছর ধরে তেজো মহালয়া ভেঙ্গে, শিবলিঙ্গ ভেঙ্গে সেটি পুনঃনির্মাণ, কোরানের আয়াত ঢুকিয়ে অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা ছিলো ।

২৪) ১৬৩২ সালে পিটার মান্ডী, ইংরেজ ভ্রমণকারী তাজমহলের গম্বুজের কথা উল্লেখ করেছেন । প্রশ্ন হলো তিনি এসেছিলেন মুমতাজের মৃত্যুর ১ বছর পর । এতো তাড়াতাড়ি গম্বুজ উঠে না, ২২ বছর ধরে যেখানে কাজ হয়েছে দাবি করা হয় সেটি এতো তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়। অতএব ইহা প্রমাণ করে যে মমতাজের আগেও এই তেজো মহালয় ছিলো ।

২৫) ডা লায়েত, ডাচ অধিকারী মানসিং এর কেল্লা যেটি শাহাজাহানের আগে নির্মিত সেটি উল্লেখ করেছেন । বাদশাহনামাতে মমতাজের কবর ঐ কেল্লাতে উল্লেখ আছে ।

২৬) বারনিয়ার, ফরাসী ভ্রমণকারী শাহাজাহানের সময়কালীন উল্লেখ করেছে যে এই মানসিং এর কেল্লা, তেজোমহালয়তে অদ্ভুতভাবে অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন।

২৭) জোহান অ্যালবার্ট ১৬৩৮ সালে আগ্রা গেছিলেন। তিনি মমতাজের মৃত্যুর ৭ বছর পর গেছিলেন ।

কিন্তু তার গ্রন্থে কোন মুমতাজের কবরের ওপর গড়ে ওঠা তাজমহলের উল্লেখ নেই।
২২ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলা, নিজের বউ কবরের ওপর কোন কিছু বানানো হলে সাধারণ জণগণের কাছে খবর চলে যেতো। এরকম কোন নির্দশন বিদেশীরা অবধি খুঁজে পায়নি।

২৮) ১৮৭৪ সালে ভারতের প্রতত্নবিভাগ তাজমহলের ভিতর খননকার্য চালিয়েছিলো।
সেখানে তারা পায় যে একটি পুরোণো পিলারের ওপর নতুন পিলারের কোটিং।
বেসমেন্টেও বহু তথ্য পায়।
কিন্তু এইসব ফাইল পরের দিকে গায়েব হয়ে যায় ।

২৯)তাজমহলের বেশ কিছুটা দূরে কোরাণের আয়াত লেখা বিরাট গেট দেখা যায় । সেখানে দেখা যায় হাতির মূর্তি স্বাগতম করছে।
মূর্তির ভাঙ্গা অংশে ছাপ স্পষ্ট বোঝা যায়। ইসলামিক স্থাপত্যে কোন হাতির চিত্র হয় না ।

৩০) তাজমহল করতে নির্দিষ্ট কতো খরচ হয়েছিলো, কতো মার্বেল লেগেছিলো তার কোন তথ্য নেই তখনকার সরকারী নথীপত্রে, যদি প্রকৃত নির্মাণ হত তাহলে সব তথ্যের উল্লেখ থাকতো।
যেহেতু কাজটা ছিলো হিন্দু মন্দিরকে ভেঙ্গে ট্রিক আর্ট দিয়ে কবরের মহল সৃষ্টি করা তাই এতো সময় লাগলো ।

৩১) লক্ষনৌর মিউজিয়ামে আছে একটি নেমপ্লেটের সংরক্ষণ করে রাখা যেখানে ১১৫৫ সালে তৈরী মাউন্ট কৈলাশের ন্যায় সাদা শিব মন্দির তৈরির কথা বলা আছে, ভগবান শিব এখানে থাকার কথা বলে গেছিলেন।
শাহাজাহানের নির্দেশে এই নেমপ্লেট হঠানো হয় এই তাজমহল থেকে। তেজোমহালয় (তাজমহল) এর বাগানে আজও চৌকানো পিলার আছে তা স্পষ্ট ইঙ্গিত ট্রিক আর্টের শিকার হয়েছিলো এই শিবমন্দির ।

৩২) তাজমহলের ভেতর এখন কোরানের ১৪ অধ্যায়ের আয়াত দেখেন সেখানে গভীরভাবে গবেষণা করলে দেখা যাবে এই লেখাগুলির আগেও অন্য লেখা ছিলো যেগুলির সঙ্গে ইজলামের কোন সম্পর্ক নেই। ট্রিক আর্টের প্রমাণ আবার।

৩৩) কোরাণের খোদাই করা লেখাগুলি খুটিয়ে দেখা গেছে এগুলি অনেক পরে লেখা হয়েছে তাও অন্য লেখা মুছে দিয়ে । তেজোমহলের সুদক্ষভাবে দখল করা হয়েছে ।

আগ্রার তাজমহল সম্পর্কে অজানা তথ‍্য

৩৪) তাজের পাশে নদী থেকেই একটি দরজা পাওয়া গেছিলো যেটা তাজের অংশ ছিলো, তার কার্বন ১৪ আমেরিকা থেকে জানা যায় যে এর বয়স ৩০০ বছরের ও পুরোনো শাহাজাহানের থেকেও।
তার অর্থ আগে এখানে শিবমন্দির ছিলো । বারবার মুসলিম আক্রমণে ভাঙনের শিকার হয় ও পরিত্যক্ত রূপে ধীরে ধীরে পরিণত হয় ।

৩৫) মধ্যবর্তী পিলার তার চারপাশে কোনা পৃথিবীর সর্বজনীন হিন্দু মন্দির বানানোর নীতি ।

৩৬) বড় বড় নামকরা বাড়ির নকশা করার প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন তাজমহল হিন্দু মন্দির স্টাইলে বানানো।
বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার জাভাতে হিন্দু মন্দির স্টাইলে এই তাজমহল। প্রসঙ্গতঃ ইসলামে এরকম নির্দশন কোথাও নেই। হিন্দু মন্দির মত বানানো হারাম বলা হয়। বোঝাই যাচ্ছে এটি তেজোমহালয় শিব মন্দির ।

৩৭) ৪ টি কোনার মার্বেল পিলারের ওপর বিরাট তেলের আলো লাগিয়ে রাত্রে বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠান পালন করা হিন্দু রীতির পুরোনো অঙ্গ। ইসলামে এরকম কোন স্থাপত্য নেই ।

৩৮) অষ্টকোণী পিরামিড আকৃতি যা এই তেজো মহালয়তে আছে যেটা একমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মে এই আকৃতির বর্ণণা আছে। প্রত্যেক কোনার নাম, দেবত্ব, ইষ্টপূজন আছে।
বাস্তুতন্ত্রের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ । মন্দির, দুর্গ,শহরের এরকম অনেক স্থাপত্য আছে । পরিষ্কার পুরো গঠনতন্ত্র শিব মন্দিরের ন্যায় ।

৩৯) তাজমহলের ডোমের একদম ওপরে ত্রিশূল আছে ও কলস চিত্রিত আছে । খুব চালাকি করে ত্রিশূল বাকিয়ে, কলসের আকৃতি বিকৃত করে ইসলামের আকৃতি দেওয়া হয়।
অনেক পরে আল্লাহ শব্দটি ঐখানে খোদাই হয় । এই কলস হিন্দু, বৌদ্ধ হিমালয় এলাকায় স্থাপত্যের অংশ ।

৪০) তাজমহলের পূর্ব-পশ্চিম বরাবর একই দেখতে, দৈর্ঘে, কারুকার্যে দুই ঘর আছে , যাদের মধ্যে পশ্চিমের ঘরকে মসজিদ হিসেবে ধরা হয়। প্রশ্ন হলো যদি পশ্চিমের দিকে মসজিদ হবে তাহলে একই রকমের ঘর পূর্বে কেনো বানানো হলো যেটি ইসলাম স্থাপত্য নয়।
এটি তেজোমহালয়ের অংশ যেখানে অর্ভ্যত্থনার জন্যে কাজে লাগাতো । শাহাজাহান দখল করে এটিকে পরিবর্তিত করে ।

৪১) তাজমহলের ভেতরের অনেক জায়গায় ওম চিহ্ণ, পদ্মের আকৃতি, অষ্টকোণা আকৃতি পাওয়া গেছে যেগুলিকে মুছে দেবার চেষ্টা করেছে শাহাজাহানের লোকেরা।
এই খোদাই করা চিহ্নগুলি সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে ঐগুলো  আলাদা করা হয়েছে যা তেজোমহালয় মন্দিরের স্পষ্টতা প্রমাণ করে ।

৪২) তাজমহলের পশ্চিমদিকে মসজিদ বলা হচ্ছে সেখানে একটি সঙ্গীতের ঘর আছে যা প্রমাণ করে যে এই ঘরটি হিন্দু মন্দিরের অংশ ছিলো এবং এখানে ভগবৎ সঙ্গীত চর্চা হতো সকাল-সন্ধ্যায় ।ইসলামিক সংস্কৃতিতে এইসব কোন স্থান নেই ।

৪৩) তাজের সোনার দরজা ও রুপার রেলিং মন্দির হবার আরও শক্তপোক্ত প্রমাণ দেয় । মার্বেলের মধ্যে মানিক্য মোতির কাজ ও সেই দিকে আরও ইঙ্গিত দিচ্ছে ।

৪৪) পিটার মুন্ডি, ইংরেজ ভ্রমণকারী যিনি তার বইতে আগ্রাতে এই সোনার দরজা, রুপার রেলিং যুক্ত তাজের কথা বলে। ১৬৩২ সালে ভ্রমণ করেন, মমতাজের ১ বছর মারা যাবার পর।
প্রশ্ন, যদি তাজমহল ২২ বছর ধরে নির্মাণ হচ্ছিলো তাহলে এতো আগে সিড়ি-দরজা সোনা-রূপা কেন মুড়তে যাবে? কারণ পুরো কাঠামো তৈরি হলে এগুলো সবার শেষে দেয়।
তারমানে এখানে আগে তেজোমহালয় রূপে মন্দির ছিলো ।

৪৫) তথাকথিত মুমতাজের সমাধির চারপাশে মার্বেলের মেঝের ওপর পাতলা মোসাইক পাথর রূপী গর্ত দেখা যায় । এখানে সোনার ঘেরাটোপ যুক্ত আয়তাকার জায়গা ছিলো।

৪৬) এখানে একটি লম্বা ল্যাম্প চেনের সাহায্যে ঝোলানো দেখা যায় । শাহাজাহানের তেজোমহালয় দখলের আগে এখানে শিবলিঙ্গ ছিলো, জলের পাত্র ওপর থেকে ঝোলানো থাকতো যা থেকে জল পড়তো শিবলিঙ্গের ওপর ।

৪৭) এখানে এক মিথ্যা কাহিনীর আশ্রয় দেওয়া হয় যে শাহাজাহানের চোখের জল নাকি পূর্ণিমা রাত্রে মমতাজের কবরের ওপর পড়তো ।

৪৮) মমতাজের কবর বলে যে জায়গার প্রচার করা হয় সেখানে আগে ঘেরাটোপের মধ্যে শিবলিঙ্গ থাকতো । পরবর্তীকালে এটিকে ট্রিক আর্টের মাধ্যমে অন্য রুপ দেওয়া হয় ।

৪৯) তেজোমহালয়তে একটি অন্ধকূপ বিদ্যমান ছিলো, সম্পত্তি ও মন্দিরের অর্থ নীচু একটি অষ্টমকোন বিশিষ্ট ঘরে রাখা হতো।
শত্রু আক্রমণে মন্দিরের সম্পত্তিকে বাঁচানোর জন্যে কূয়োর মধ্যে নিক্ষেপ হতো কিংবা পালানোর সুড়ঙ্গ থাকতো । মজার ব্যাপার হলো তাজমহলের মসজিদ ও সঙ্গীত ঘরের মধ্যে একটি কূয়া আছে যা ইসলামিক সংস্কৃতি হিসেবে বেমানান।

৫০) তাজমহল যদি প্রকৃতভাবে শাহাজাহান নির্মাণ করাতো তাহলে এর কাল পযর্ন্ত, মমতাজের সমাধির সময়কাল সব তৎকালীন সরকারী কাগজে উপস্থিত থাকতো।
এমনকি স্পষ্ট তারিখ অবধি নেই মমতাজের মৃত্যুর।
মোঘল আমলে ইতিহাস লেখা হতো সেখানে শাহাজাহানের ৫০০০ হারেমের কথা উল্লেখ আছে । মমতাজের মৃত্যু নিয়ে কোন তথ্য নেই ।

৫১) শাহাজাহানের সময় কোন সরকারী কাগজে তাজমহলের খরচের উল্লেখ ছিলো না।
যদি সরকারী খরচায় নির্মাণ হতো কিংবা প্রকৃত নির্মাণকাজ হতো তাহলে তার উল্লেখ থাকতো। পরের দিকে লেখকরা তাজমহলের খরচার হিসাবপত্রের কাহিনী লিখে ফেলে ।

৫২) তাজমহল বানাতে বলা হয় ১০ থেকে ২২ বছর সময় লেগেছিলো এরকম বলা হয়।
এরকম অনুমান জাতীয় কাজ সরকারী কাজে হয় না যেটা মোঘল আমলে কোন সরকারী কাগজে সময় কিংবা হিসেবের কোন উল্লেখ ই নেই ।

৫৩) তাজমহলের পুরো গঠনের চিন্তা বা প্ল্যানিং কে করেছিলো সেটা অবধি উল্লেখ নেই সরকারী কাগজে।
কেউ বলে তুর্কী, পার্সিয়ান আবার কেউ বলে শাহাজাহান নিজেই। এরকমভাবে কোন দেশের কারুকার্য এর কাজ হয় না ।

৫৪) ২২ বছর ধরে ২০ হাজার শ্রমিক তাজমহলের কাজ করছিলো বলে প্রচার করা হয় কিন্তু মজার ব্যাপার হলো সরকারী কাগজে কোন নকশা, শ্রমিকদের ওপর খরচা, থাকার ব্যবস্থা, মালের হিসেব, কার ওপর কি দায়িত্ব ছিলো, বানানোর পদ্ধতি ইত্যাদি এইসবের কোন কিচ্ছুর উল্লেখ নেই এবং কোন সরকারী কাগজ অবধি নেই।

৫৫) প্রকৃতপক্ষে শিবমন্দির তেজোমহালয় ভেঙ্গে রুপ পরিবর্তিত করে, কোরানের আয়াত ঢুকিয়ে শাহাজাহানের মিস্ত্রীরা কাজ করছিলো।
কাজ শেষ হয়ে যাবার পর শাহাজাহান এদের হাতের আঙ্গুল কেটে দেয় যাতে বিশ্বে আর কোথাও ধাপ্পাবাজী না করতে পারে ।

৫৬) তাজের বাগানে কেতকী, জুই,জয়,বেল, চম্পা, হরশ্রীনগর ইত্যাদি ফুলগাছ আছে। এইসব ফুল হিন্দু দেবদেবী পূজাতে লাগে।
বেলের পাতা শিবের পূজনের জন্যে লাগে। প্রশ্ন হলো মসজিদ কবরে এইসব ফুল-গাছ কোথাও থাকে না।
যদিও গাছ থাকতো সেগুলো ছায়া প্রদানকারী হতো, এইসব গাছ কোনদিন হতো না।
এর থেকে প্রমাণ হয় যে শাহাজাহান এই শিব মন্দির দখল করেছিলো ।

৫৭) বড় বড় হিন্দু মন্দির নদী বা জলাশয়ের কাছে বানানো হয় কারণ জল প্রতিদিন কাজে দরকার মন্দিরের পূজা ও অন্যান্য কাজে।
তেজোমহালয় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। কবর ও মসজিদ নদীর তীরে বানানোর এরকম কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।

৫৮) তাজমহলের রাস্তা চারদিকে আছে । এটা বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের স্থাপত্যশিল্প চর্তুমুখী রাস্তা ।

৫৯) নবী মোহাম্মদ স্পষ্ট উল্লেখ করে গেছে যে কবরের ওপর চেনার জন্যে  কোন চিহ্ন থাকবে না।
কিন্তু তাজমহল সম্পূর্ণভাবে ইসলাম বিরোধী নীতি ছিলো শাহাজাহানের।
গর্ভগৃহে ও ১ তলায় কবরগৃহ করা হয়েছিলো।
তার ওপর সৌধ নির্মাণ হয়েছে। উজ্জয়ণ ও সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের ন্যায় এখানে একের ওপর এক শিবলিঙ্গ নির্মাণ ছিলো কিন্তু শাহাজাহানের দখলের ওপর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়।

৬০) তাজমহলের প্রবেশদ্বার হলো দক্ষিণ দিকে। যদি প্রকৃত ইসলামিক নিয়ম অনুসারে স্থাপত্য হতো তাহলে পশ্চিমমুখী হতো। আসলে এটি হিন্দু মন্দির ছিলো ।

৬১) তাজমহলের ওপরের চূড়াটা পদ্মের পাপড়ির ন্যায়। প্রকৃত ইসলামিক স্থাপত্য কখনো এরকম হয় না। চূড়ার মধ্যে অনেকটা পার্থক্য ছিলো । ইসলামিক চূড়া টাক মাথার মতো হয়।

৬২) স্থাপত্যের বিচারে দেখবেন তাজমহলের চূড়ার আকৃতি প্রতীক ও বৈজ্ঞানিক তারতম্য হলো উচ্চ শব্দ সঙ্গীত চারদিকে ছড়িয়ে মনোরম পরিবেশ তৈরি করবে যেমনটা আরতি কিংবা মন্দির সঙ্গীতের ক্ষেত্রে।
কিন্তু এমন স্থাপত্য কবরে কেনো হবে সেটার কোন যৌক্তিকতা নেই। তেজোমহালয় শিব মন্দির থাকাকালীন ঘণ্টা, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের প্রভাবে পুরো জায়গা গমগম করতো ।

৬৩) মোঘল শাসক ঔরঙ্গজেব তার বাবা শাহাজাহানকে চিঠিতে লিখছে যে তাজমহল ৭ তলা ছিলো। ৪ তলা ওপর থেকে গুনে গুনে দেখা যায়।
১২-১৫ নাম্বার ঘরের ভেতর ভূমি থেকে নীচেও ২ তলা ছিলো। যেটি নদীর তল বরাবর আছে।
আরও একটি তলা যমুনা নদীর লেবেলের নীচুতে আছে যা প্রাচীন হিন্দু মন্দির স্থাপত্যের চূড়ান্ত নমুনা নির্দেশ করে।

৬৪) নদীর জলস্তরের নীচুতে থাকা ২২ টি লাল রং এর ঘর এর ভেণ্টিলিটার চুন সুড়কি ইট দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এই ঘরের দরজাগুলি এইভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৩৩ ফুট বিরাট বারান্দা আছে। এই এলাকা তালা দিয়েছে রেখেছে ভারত সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ।

৬৫)এই ৭ তম তলা অনেকবার দরজা ভাঙ্গা হয়েছে ও আবার জোড়া লাগানো হয়েছে ইংরেজদের আমলে।
১৯৩৪ সালে এই ঘরের মধ্যে সংস্কৃতি লিপি, বহু মূর্তি স্থাপত্য, শিবের মাথা ভাঙ্গা মূর্তি, অঙ্কিত দেওয়াল, কিছু কয়েন, বাসনপত্র পাওয়া গেছে এমনটা বলা হয়।

৬৬)১৯৫৯-১৯৬২ সালের মধ্যে তাজমহলের ভেতর অষ্টাকোণা দেয়ালে বিরাট ফাটল দেখতে পাওয়া যায়।
সারাই করার সময় দেখা যায় বিরাট বড় বড় মার্বেলের মূর্তি ভিতরে। এস.রাও তখন পুরাতত্ত্ব বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
এই ব্যাপারটা প্রচার হতেই সরকারের তরফে আবার মূর্তিগুলি ভেতরে ঢুকিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়।

৬৭) ভিনসেণ্ট স্মিথের বই “আকবরের ওপরে” সেখানে বাবরের ওপর কাহিনীতে তাজের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়।
হুমায়ন নামাতেও তাজকে অদ্ভূত রহস্যজনক স্থাপত্য বলা হচ্ছে। তাহলে এটা স্পষ্ট শাহাজাহানের জন্মানোর অনেক আগেই এই তাজ ছিলো যেটি তেজোমহালয় রূপে শিব মন্দির ছিলো।

৬৮) এমনকি বাবরনামাতে তাজের উল্লেখ পাওয়া যায় যেখানে এই শিব মন্দির ইব্রাহিম লোধী দখল করে রেখেছিলো।

৬৯) তাজমহলের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে অনেকগুলি অন্য কবর আছে। শুধু যদি মমতাজের কবরের ওপর স্মৃতিসৌধ বানানোর জন্যে হতো তাহলে এগুলি কখনো হতো না।

৭০) তাজমহলের চারপাশে ১০০ ইয়ার্ডের মতো নদীর ঘাটে তাজের বহিরাংশের কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় । ভিক্টোরিয়া গার্ডেনের চারপাশে বাইরের দিকে গাছের বড় শিকড় ছড়ানো যেটি অষ্টকোণ লাল পাথরের স্তম্ভ যুক্ত আছে। এতবড় কারুকার্য ও বাইরের অংশ কবরের ওপর স্মৃতিসৌধতে তৈরি হয়নি। এখানে আগে শিব মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণ দেয়।

৭১) শাহাজাহানের বহুবিবাহ ও হারেমের কথা সবাই জানে। ১৪ সন্তানের পর মমতাজ মারা যাবার পর তার বোনকে শাহাজাহান বিয়ে করে।
যদি মমতাজের প্রতি এতো ভালোবাসা ও আলাদা জায়গা থাকতো তাহলে তারপরে এগুলি করতেন না। সেই পরিপেক্ষিতে তাজমহলের প্রশ্ন ওঠাটাই অবাঞ্ছিত।

৮৮) তাজের দক্ষিণ পূর্ব বরাবর প্রাচীন গোশালা ছিলো। প্রাচীন সময়ে তেজোমহালয় শিব মন্দিরের চারপাশে গোবংশগুলি থাকতো ।
ইসলামিক মতে এইরকম গোশালা কবরের চারপাশে অবৈধ। এটাই প্রমাণ করে যে এখানে মন্দির ছিলো।

৮৯) পুরো তাজমহলে ৪০০+ ওপরে ঘর আছে , এখনও অনেক ঘর দেওয়াল দিয়ে বন্ধ আছে। প্রশ্ন জাগে এক কবরের স্মৃতি সৌধে এত ঘর কেনো দরকার ?
উত্তর হলো এটা একমাত্র মন্দিরের পক্ষে সম্ভব।

৯০) তাজমহল ভূমি থেকে উচ্চতা বিশিষ্ট পাহাড়ের মতো উঠে এসেছে এটি হিন্দু মন্দিরের প্রাচীন বিখ্যাত গঠন।
ভারতপুরে এরকমই আকৃতি বিশিষ্ট মন্দির দেখা যায়।

৯১) তাজমহলের পাশে তাজগঞ্জ শহরটিতে প্রচুর বড় বাড়ী দূর্গের মতো দেখতে পাওয়া যায়।
প্রাচীনকালে তেজোমহালয় শিব মন্দির এই শহরের অন্তর্ভুক্ত। সোজা রাস্তা এই মন্দির পর্যন্ত যেতো। অষ্টভূজ স্তম্ভ বরাবর এই রাস্তা ছিলো।

৯২) তাজমহলের গম্বুজে শতাধিক লোহার রিং দেখতে পাওয়া যায়। বহু প্রাচীনকালে এখানে রাত্রে তেলের ল্যাম্প জলতো যা হিন্দু মন্দিরের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

৯৩) একটি মিথ্যা গল্প ছড়ানো হয় যে আগ্রার লাল কেল্লা যেখানে শাহাজাহানকে বন্দী বানিয়েছিলো ঔরঙ্গজেব, সেখানে একটি আয়না ছিলো সেখান থেকে তাজমহলের ঝলক দেখা হত।
প্রথমতঃ ঔরঙ্গজেব শাহাজাহানকে নীচের ঘরে বন্দী বানিয়ে রেখেছিলো, ওপরের ব্যালকনীতে নয়।
দ্বিতীয়তঃ শাহাজাহানের কোমড়ে, ঘাড়ে, হাঁটুতে বিশাল ব্যাথা যন্ত্রণা ছিলো, সে তো ওপরেই উঠতে পেতো না।
তৃতীয়তঃ ১৯৩০ সালে ইন্সা আল্লাহ খান, পুরাতত্ব বিভাগের পিওন এই আইনাটি লাগিয়েছিলো তাজমহলের গল্প প্রচারের উদ্দেশ্যে।

৯৪) রোমিও-জুলিয়েট রূপে শাহাজাহান মমতাজকে দেখানো হয় তা পুরোপুরি মিথ্যা কারণ শুধু ঐতিহাসিকভাবে দেখলে বোঝা যায় শাহাজাহান অত্যাচারী, জিহাদী, হিন্দু বিরোধী মানসিকতা ছিলো।

৯৫) ৩০ বছরের শাহাজাহানের শাসনকালে ৪৮ টি যুদ্ধ আগ্রাসন হয়েছিলো। শান্তি শৃঙ্খলা ছিলো না । শাহাজাহান নিজে কোন স্থাপত্য নির্মাণ করাননি। যদি করাতেন তাহলে সরকারী কাগজে থাকতো।

৯৬) মমতাজের কবরের ওপর স্মৃতিসৌধে সোনায় মোড়া সূর্য ও কোবরার চিহ্ন পাওয়া যায়।
এইসব হচ্ছে হিন্দু মন্দির চিহ্ন। কোবরার সাথে শিবের সম্পর্ক আমরা সবাই জানি। এটি তেজোমহালয়ের প্রমাণ আরও বেশী করে দেয় ।

৯৭) তাজমহলের মুসলিম ভৃত্যরা একটি খসড়া অনুসরণ করতো তার নাম তারিখি-ই-তাজমহল।
এই কাগজটি শাহাজাহানের মৃত্যুর বহু বছর পর বানানো হয়েছিলো পুরো মন্দির তথ্য ধাপাচাপা দেবার জন্যে।

৯৮) অনেক ইতিহাসবিদরা দাবী করেন যেহেতু তাজমহলের কাজে প্রচুর হিন্দু মিস্ত্রী যুক্ত ছিলো তাই তারা নিজ চিন্তায় এইসব ভুল ভ্রান্তি করা কারুকার্য করেছিলো।
এই দাবী মিথ্যা এই কারণে যে তাজমহলের কোন নির্মাণ নকশা, পুরো তথ্য কোন কিছুই নেই।
একটি হিন্দু মন্দিরকে বিকৃত করে স্মৃতি সৌধ বানানোর সফল প্রয়োগ করেছে শাহাজাহান।
অন্ধ সমর্থক ইতিহাসবিদরা এর প্রচার এমন ভাবে করেছে যে মিথ্যাটাও সত্যি রুপে প্রচারিত হয়!

4 thoughts on “তাজমহল | তেজ মহালয় থেকে তাজমহলের ইতিহাস | আগ্রার তাজমহল সম্পর্কে অজানা তথ‍্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *