বতর্মানে জঙ্গি বাদকে বলা হয়ে থাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একটি নতুন রূপ। জঙ্গি বাদ বলতে আমরা বুঝি ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ। এই জঙ্গিদের ধারা অনেক পুরোনো! এই পুরনো ধারা থেকে ছোট একটি ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি! 1979 সালের নভেম্বরের শেষের দিকে এবং ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে!
সৌদি আরবের মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম মসজিদ আল-হারাম, সৌদ হাউসকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়ে চরমপন্থী বিদ্রোহী জঙ্গি দের একটি দল দখল করে নেয়। বিদ্রোহী জঙ্গি গণ তখন ঘোষণা করেছিল যে, মাহদি ইসলামের মুক্তিদাতা এবং মাহদি তাদের একজন নেতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-কাহতানি এর আকারে এসেছেন এবং মুসলমানদেরকে তার আনুগত্য স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছে!
তারপর ফরাসি জিআইজিএন বাহিনীর পরামর্শে সৌদি আরবের সেনাবাহিনী গ্র্যান্ড মসজিদ পুনরুদ্ধারের জন্য প্রায় দুই সপ্তাহ যুদ্ধ করেছিল!
সম্রাট সুমদ্রগুপ্ত
পৃথিবীর সবচেয়ে অন্যতম বড় শান্তির ধর্ম “ইসলামের” পবিত্রতম স্থান দখল, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও নামায পড়তে যাওয়া শান্তিপ্রিয় ঈমানদারগণ জঙ্গি দের হাতে জিম্মি হয়।
পরে সৌদি আরবের সরকারি বাহিনী কর্তৃক মসজিদ নিয়ন্ত্রণের জন্য যুদ্ধে শত জঙ্গি নিহত, নিরাপত্তা বাহিনী এবং জিম্মিদের মৃত্যু বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল! দখল শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ পর মসজিদ উদ্ধার হয়! আল-কাহতানি মসজিদটি পুনরুদ্ধারের সময় নিহত হন, কিন্তু নেতা জুহায়মান আল-ওতাইবি এবং তার 67 জন সহযোগী বিদ্রোহী জঙ্গি যারা হামলা থেকে বেঁচে যায়।
পরে সৌদির সেনাবাহিনী তাদের বন্দী করে এবং পরবর্তীতে সৌদি সরকার তাদের শিরচ্ছেদ করে!
এই লোমহর্ষক জঙ্গি হামলার ঘটনার পরে তৎকালীন সৌদি যুবরাজ শরীয়া আইন কঠোরভাবে পালনের নির্দেশনা দেয়!
Pingback: পেশোয়া বাজিরাও ভারতবর্ষের এক মহান যোদ্ধা! Bajirao Family - Shivrupi
Pingback: বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ইতিহাস ঐতিহ্য