গজনীর সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযান
আমরা অনেকেই হয়ত পড়েছি গজনীর সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযান এর কথা যেখানে সুলতান মাহমুদের সমৃদ্ধ ইতিহাস তৈরী করে, তাদের কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আর তাই অনেক মুসলিমদের বলতে শোনা যায় গজনীর সুলতান মাহমুদের আমলে ভারতবর্ষে অনেক সুশাসন ছিলো.. তো দেখা যাক সুলতান মাহমুদের ভারতবর্ষে কেমন সুশাসন করেছিলেন।
পূর্ব আফগানিস্তানের একটি ক্ষুদ্র রাজ্য গজনী। সুলতান সুবুক্তিগীনের মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র আমীর ইসমাইল গজনীর সিংহাসন অধিকার করে।
কিন্তু কনিষ্ঠ আমুর মামুন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে পরাজিত করে ১৯৭ খ্রিঃ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তাঁর রাজত্বে ক্ষুদ্র গজনী এক বিশাল শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়।
ঐতিহাসিক Will Durant এর বিবরণ অনুযায়ী প্রতি শীতে তিনি হিন্দুস্থানে হানা দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর হিন্দুস্থানের সম্পদ লুণ্ঠন করে পূর্ণ করতেন তাঁর কোষাগার।
চিত্ত বিনোদনের জন্য লুণ্ঠন ও হত্যায় সৈন্যদের দিতেন অবাধ স্বাধীনতা।
তারপর পূর্বাপেক্ষা আরও ধনী হয়ে বসন্তে ফিরে যেতেন স্বদেশে। হিন্দুস্থান থেকে লুণ্ঠিত মণিরত্নের প্রদর্শনী করে গজনীর সুলতান মাহমুদ বিদেশী রাজদূতদের চমৎকৃত করতেন।
এই সকল রত্নরাজির মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য..
পরিবৃত হিমায়িত মদ অথবা অগ্নিকণার ন্যায় প্রদীপ্ত মুক্তা ও পদ্মরাগ মণি, চিরহরিৎ গুষ্মের সবুজ সতেজ পত্ররাজির ন্যায় পান্না এবং আকার ও ওজনে পঞ্চ দাড়িম্বের ন্যায় বৃহৎ হীরকখণ্ড
(Each winter Mahmud descended into India, filled his treasure chest with spoils and amused his men with full freedom to pillage and kill; each spring he returned to his capital richer than before.
Returning to Ghazni he astonished the ambassadors of foreign powers by displaying ‘jewels and unbored pearls and rubies shining like sparks, or like wine congealed with ice, and emeralds like fresh sprigs of myrtle and diamonds in size and weight like pomegranates)”
ঐতিহাসিক Al Utbi লিখেছেন, গজনীর সুলতান মাহমুদ মন্দির ধ্বংস করে ইসলামের প্রতিষ্ঠা করেছেন।
নগরের পর নগর তিনি অধিকার করেছেন, মুসলমানদের অভিলাষ পূর্ণ করতে নীচ কাফেরদের হত্যা করেছেন।
ভেঙেছেন তাঁদের দেবতার বিগ্রহ। তারপর স্বদেশে ফিরে গিয়ে সগর্বে প্রচার করেছেন ইসলামের বিজয় কাহিনি…….।
খোদার নামে শপথ নিয়েছেন প্রতি বছর তিনি হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে জেহাদ বা ধর্মযুদ্ধ পরিচালনা করবেন।
(He demolished idol temples and established Islam.
He captured…. cities, killed the polluted wretches, destroying the idolators, and gratifying Muslims.
He then returned home and promulgated accounts of the victories obtained for Islam…. and vowed that every year he would undertake a holy war against Hind.)
ভারত অভিযানে গজনীর সুলতান মাহমুদ এরূপ হিংস্র বর্বর পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন যা হিন্দুদের মনে ভীতির সঞ্চার করত।
উদ্দেশ্য পরিষ্কার যাতে মনোবল হারিয়ে হিন্দুরা প্রতিরোধের চেষ্টা না করে।
You may also like…
ছত্রপতি শিবাজী: ভারতবর্ষের সূর্য সন্তান
পৃথিরাজ চৌহান: ভারতবর্ষের শেষ হিন্দু সম্রাট
পেশোয়া বাজিরাও ভারতবর্ষের এক মহান যোদ্ধা
১০০১ খ্রিঃ গজনীর সুলতান মাহমুদ রাজা জয়পালের রাজ্য আক্রমণ করেন। যুদ্ধে জয়পাল পরাজিত ও বন্দি হন।
মামুদ আদেশ দিলেন, শৃঙ্খলিত জয়পালকে রাজপথে ঘোরানো হবে।
রাজার এই চরম দুর্গতি ও অপমান রাজপুত্রগণ ও অমাত্যবর্গ স্বচক্ষেই দেখবে। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে ইসলামের আতঙ্ক।
(Mahmud ordered that Jaipal be paraded about in the streets so that his sons and chieftains might see him in that condition of shame, bonds and disgrace; and that fear of Islam might fly abroad through the country of the infidels)
১০১১ খ্রিঃ চাঁদ রাই যুদ্ধে মামুদের নিকট পরাজিত হয়। অসংখ্য হিন্দু নিহত অথবা বন্দি হয়।
রেফারেন্সঃ
1. Will Durant – The Story of Civilization, P-460 2. Quoted by Dr. Ambedkar-Writings and Speeches, P-56 3. Dr. B. R. Ambedkar-Writings and Speeches. Vol-8, P-57
রাজধানী অরক্ষিত, লুণ্ঠনের সুবর্ণ সুযোগ। ইসলামের বীর ধর্মযোদ্ধাদের সেদিকে কিন্তু খেয়াল নেই।
যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সূর্য ও অগ্নির উপাসক কাফেরদের রক্তে পরিতৃপ্ত হচ্ছেন। কাফের হত্যা গজনীর সুলতান মাহমুদ ও তাঁর সৈনিকদের দিত অপার আনন্দ
(“The slaughtering of infidels” seemed to be one thing that gave Muhammad particular pleasure. In one attack on Chand Rai, in A.D. 1019, many infidels were slain or taken prisoners, and the Muslims paid no regard to booty until they had satiated themselves with the slaughter of the infidels and worshippers of the sun and fire)
সুলতান জানতে পারেন যে হিন্দুস্থানে থানেশ্বর নামে একটি রাজ্য আছে। সেখানে আছে জাগরসম দেবের বিশাল মন্দির।
হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি সংগ্রহ করেন এক বিশাল বাহিনী। তারপর হিন্দুস্থান অভিমুখে অগ্রসর হন।
জয়পালের পুত্র গুপ্তচর মুখে এ সংবাদ শুনে মামুদের নিকট প্রস্তাব করেন। যে সুলতান যদি এ অভিযানে বিরত হন তবে তাঁকে ৫০টি হাতি নজরানা বাবদ দেওয়া হবে।
গজনীর সুলতান মাহমুদ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। থানেশ্বর পৌঁছে তিনি দেখেন শহর জনশূন্য। সৈন্যরা রাজধানী বিধ্বস্ত করে লুণ্ঠনে মত্ত হয়।
ভেঙে দেয় অসংখ্য দেবমূর্তি। জাগরসম দেবের মূর্তি নিয়ে যায় গজনী।
গজনীর সুলতান মাহমুদের আদেশে বিগ্রহকে মসজিদের সোপানে বসানো হয়, যাতে বিশ্বাসীগণ ঐ মূর্তি পা দিয়ে মাড়িয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে পারে
( He collected a large force with the object of carrying on a religious war, and in the year 402 A.
H. marched towards Thaneswar. The son of Jaipal having received intelligence of this, sent an envoy and represented through him,-that if the Sultan would relinquish this enterprise, he would send 50 elephants-as tribute.
The Sultan paid no heed to this offer, and when he reached Thaneswar he found the city empty.
The soldiers ravaged and plundered whatever they could lay hands upon, broke the idols and carried Jagarsom to Ghazni.
The Sultan ordered that the idol should be placed in front of the place of prayer, so that the people would trample upon it).
মথুরা ভগবান কৃষ্ণ বাসুদেবের জন্মস্থান। হিন্দুদের পুণ্য তীর্থক্ষেত্র। বৈরাগী, সাধু সন্ন্যাসীর বাস, পুণ্যার্থী জনতার সমাগম।
বিনা বাধায় গজনীর সুলতান মাহমুদ মথুরায় প্রবেশ করলেন। কে তাঁকে বাধা দেবে?
মথুরাকে বলা যায় প্রাসাদ নগরী, অনুপম অনবদ্য তার স্থাপত্য।
রেফারেন্সঃ
1. Ihid, P-57
2. Khwajah Nizamuddin Ahmad-The Tabaqat-l-Akbari. Vol-I, P-7
সুলতান মুগ্ধ বিস্মিত, তিনি হিসাব কষে বললেন, এরকম একটি সুন্দর নগর তৈরি করতে ২০০ বছরের শ্রম ও ১০ কোটি dinar প্রয়োজন হবে।
সশ্রদ্ধ বিস্ময়ের ঘোর কেটে যেতেই মথুরাকে ভস্মস্তূপে পরিণত করতে সৈন্যদের আদেশ দিলেন।
(He expressed his admiration for the architecture of the great shrine, judged that its duplication would cost one hundred million dinars and the labour of two hundred years, and then ordered it to be soaked with naphtha and burnt to the ground)
মথুরার অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী যেগজনীর সুলতান মাহমুদকে মুগ্ধ করেছিল, পণ্ডিত নেহেরুও তাঁর Glimpses Of World History তে তা উল্লেখ করেছেন।
গজনীর সুলতান মাহমুদ গজনীতে তাঁর প্রতিনিধিকে লিখছেন, এখানে আছে এক সহস্র দেবতার মূর্তি।
বিশ্বাসীদের ধর্মের ন্যায় যা অটল, মজবুত ও সুদৃঢ়। কোটি কোটি দিনার ব্যয় করেই নগরীর এরূপ বিকাশ সম্ভব হয়েছে এবং ২০০ বছরেও অনুরূপ আর একটি নগর নির্মাণ করা সম্ভব নয়।
(Of Mathura, Mahmud has given us a glimpse, which shows us what a great city it was. Writing to This Governor at Ghazni, Mahamud Says, There are here (Mathura ) a thousand edifices as firm as the faith of the faithful; nor it is likely that this city has attained its present condition but at the expense of many millions of dinars; nor could such another be constructed under a period of 200 yrs. )
কিন্তু গজনীর সুলতান মাহমুদ যে এমন সুন্দর নগরটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছেন, পণ্ডিত নেহেরু সে কাহিনি সযত্নে পরিহার করেছেন।
খাজা নিজামুদ্দিনের বিবরণ অনুযায়ী গজনীর সুলতান মাহমুদ তাঁর বিশাল বাহিনী নিয়ে বিনা বাধায় মথুরা প্রবেশ করেন।
তাঁর আদেশে সকল মন্দির ভস্মীভূত হয় ধ্বংস হয় সারি সারি বিশাল অট্টালিকা, লুণ্ঠন থেকে সংগৃহীত হয় অপর্যাপ্ত রত্নভাণ্ডার।
মথুরায় খাঁটি সোনার একটি বিরাট বিগ্রহ ছিল যাঁর ওজন ৯৮৩০০ মিসকাল (এক মিসকাল এক সেরের ৩ ভাগের ২ ভাগ)।
গজনীর সুলতান মাহমুদের আদেশে মূর্তিটিকে ভাঙা হয়। একটি বহু মূল্যবান রত্ন, যার ওজন ৪৫০ মিসকাল, সুলতানের রত্নভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে।
(When the Sultan arrived in this city no one came forward to give him a battle; and the sultan’s army completely destroyed the city and burnt the temples and obtained boundless)
মহার্ঘ রত্নটি হল পদ্মরাগ / নীলকান্ত মণি
রেফারেন্সঃ
I. Will Durant — The Story of Civilization, P-460 2. Pt. Nehru Glimpses of World History, P-155-156
wealth. There was one golden idol, which was broken up under the orders of the sultan, which weighed 98,300 Miskals of pure gold. They found a precious stone the weight of which was 450 Miskals )।
ঐতিহাসিক Lane Poole বলেন, গজনীর সুলতান মাহমুদের প্রতিজ্ঞা ছিল প্রতিবছর তিনি হিন্দুস্থানের কাফেরদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধের উদ্দেশ্যে অভিযান করবেন।
যতদিন পর্যন্ত সোমনাথ মন্দির অক্ষত থাকবে ততদিন তিনি মূর্তিভাঙার অভিযান থেকে বিরত হবেন না।
মুলতান থেকে গজনীর সুলতান মাহমুদ বিশাল বাহিনী নিয়ে সোমনাথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। মন্দিরে ছিল এক হাজার ব্রাহ্মণ, শত শত নর্তকী ও গায়িকা।
অর্ধ লক্ষাধিক নর নারীও আশ্রয় নিয়েছে মন্দির চত্বরে। গর্ভগৃহের মাঝখানে ছিল মণি মাণিক্য খচিত কষ্টিপাথরে নির্মিত বিশাল লিঙ্গদেব।
চারিদিকে ছিল অতি সুন্দর কারুকার্য শোভিত নক্ষত্রের ন্যায় উজ্জ্বল বিচিত্র বিবিধ রত্নখচিত ঝুলন্ত দীপাধার।
সেই রত্নদীপের বর্ণময় বিচ্ছুরিত দীপ্তিতেই আলোকিত হত বিগ্ৰহ।
ক্রমশ এগিয়ে আসছে ইসলামের ধর্মযোদ্ধারা, মত্ত কলেরবে। শোনা যাচ্ছে তাঁদের রণহুঙ্কার, আল্লা হো আকবর।
ভীত অসহায় নরনারীর আকুল আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হয় দিক হতে দিগন্তরে। পৈশাচিক উল্লাসে ঝাঁপিয়ে পড়ে মামুদের সৈন্যদল।
বয়ে গেল রক্তের প্লাবন। লুণ্ঠিত হয় সোমনাথের অতুল ঐশ্বর্য। ধূলিসাৎ হয় তাঁর মন্দির।
নিহত হয় ৫০০০০ হিন্দু।
(It is said by Lane Poole that Mahmud of Ghazni “who had vowed that every year should see him wage a holy war against the infidels of Hindusthan’ could not rest from his idol breaking campaign so long as the temple of Somnath remained inviolate a thousand brahmins served the temple and guarded its treasures, and hundreds of dancers and singers played before its gates.
Within stood the famous linga, a rude pillar stone adorned with gems and lighted by jewelled candelebra which were reflected in rich hangings, embroidered with precious stones like stars, that decked the shrine.
The foreigners nothing daunted, scaled the walls; the God remained dumb to the urgent appeals of his servants; fifty thousand Hindus suffered for their faith and the sacred shrine was sacked
মূর্তিটিকে ভেঙে টুকরো টুকরো করা হয়। বিগ্রহের ভাঙা অংশগুলি ও মন্দিরের বিশাল ফটক গজনীতে বিজেতার প্রাসাদে বসানো হয় শোভা বর্ধনের জন্য।
রেফারেন্সঃ
1. Khwajah Nizamuddin Ahmed-Tabaqat-l-Akbari. Vol-I, P-11
to the joy of the true believers. The great stone was cast down and its fragments were carried off to grace the conqueror’s palace. The temple gates were set up at Ghazni and a million pounds worth of treasure rewarded the iconoclast. )
খাজা নিজামুদ্দিনের বর্ণনায়, দুর্গ অধিকৃত হল। শুরু হল পরিকল্পনা অনুযায়ী ধ্বংস ও লুণ্ঠন। অসংখ্য মানুষ নিহত ও বন্দি হয়।
( the fort was taken and the methods of plunder and destruction were carried into effect, and vast multitudes were killed and taken prisoner.
The temples were pulled down, and destroyed from their very foundations. The idol of Somnath was broken to pieces, and one piece was sent to Ghazni, and was placed at the gate of the Jama Masjid; and for years it remained there)
ঐতিহাসিক খাজা নিজামুদ্দিন আহম্মদের বিবরণ থেকে জানা যায়, মন্দিরে অনেক সুবর্ণ নির্মিত বিগ্রহ ছিল। তাঁদের মধ্যে বৃহত্তম বিগ্রহের নাম ছিল মানত (Manat)।
কাবার মন্দির থেকে এই বিগ্রহ এনে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
(There were many golden idols in the temple in the city, and the largest of these idols was called Manat-this idol was taken out of the house of Kaaba and was brought here )
ঐতিহাসিক Minhaj as-Siraj লিখেছেন, এক সহস্র মন্দির ভেঙে গজনীর সুলতান মাহমুদ জগদ্বিখ্যাত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি ছিল সোমনাথ মন্দির ধ্বংস।
সোমনাথ বিগ্রহ নিয়ে যান গজনীতে। তাকে ভেঙে চার টুকরো করা হয়।
এক ভাগ শোভা পায় গজনীর জামা মসজিদে আর এক ভাগ রাজপ্রাসাদের প্রধান ফটকে। অবশিষ্ট দু’ভাগ পাঠিয়ে দেওয়া হয় মক্কা ও মদিনায়।
(Minhaj-as-Siraj further tells how Mahmud became widely known for having destroyed as many as a thousand temples, and of his great feat in destroying the temple of Somnath and carrying off its idol, which he asserts was broken into four parts. One part he deposited
ইসালম ধর্ম প্রবর্তনের পূর্বে মক্কাবাসীরা যে সকল দেবতার পূজা করত, তাঁদের মধ্যে মানত ছিলেন অন্যতম প্রধান।
রেফারেন্সঃ
1. Quoted from Dr. B. R. Ambedkar-Writings and Speeches, Vol-8, P-58 2. Khwajah Nizamuddin Ahmed-The Tabaqat-l-Akbari, Vol-8, P-15
3. Ibid, P-15
in the Jama Masjid of Ghazni, one he placed at the entrance of the royal palace, the third he sent to Mecca, and the fourth to Medina.)
গজনীর সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযান সম্বন্ধে পণ্ডিত নেহেরুর বিশ্লেষণ তাৎপর্যপূর্ণ, আরব থেকে মুসলমান এদেশে আসত আবার চলে যেত।
তারা মসজিদ নির্মাণ, ধর্মপ্রচার আবার ধর্মান্তরও করত। এসব নিয়ে কোন আপত্তি ওঠেনি, হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের মধ্যে হয়নি কোনো সংঘাত।
কিন্তু একাদশ শতকে যখন ইসলাম ভারতে এল মুক্ত কৃপাণ হাতে বিজয়ীর ছদ্মবেশে তখনই সৃষ্টি হল প্রবল বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
পূর্বের সহিষ্ণুতার পরিবর্তে দেখা দিল ঘৃণা ও সর্ষ। প্রজ্বলিত মশাল ও মুক্ত কৃপাণ হাতে যিনি এলেন তিনি গজনীর সুলতান মামুদ।
প্রতিবছর ভারত আক্রমণ করে তিনি হত্যা ও ধ্বংসের তাণ্ডব সৃষ্টি করতেন। তারপর দেশে ফিরে যেতেন বিপুল ধন-সম্পদ ও লক্ষ বন্দী নরনারী নিয়ে।
গজনীর সুলতান মাহমুদ মোট ১৭ বার ভারত আক্রমণ করেন। শুধু কাশ্মীর অভিযানে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। উত্তর ভারতে তিনি ছিলেন মূর্তিমান বিভীষিকা।
থানেশ্বর আক্রমণ করে তিনি ২,০০,০০০ বন্দি ও প্রচুর সম্পদ নিয়ে দেশে ফিরে যান। গজনীর সুলতান মাহমুদ যখন সোমনাথ আক্রমণ করেন, তখন মন্দিরে হাজার হাজার নরনারী আশ্রয় নিয়েছিল।
আশা ছিল দেবতার অলৌকিক শক্তি তাদের রক্ষা করবে। কিন্তু ভক্তদের কল্পজগত ব্যতীত অলৌকিক লীলা কদাচিৎ ঘটে।
গজনীর সুলতান মাহমুদ মন্দিরে আশ্রিত ৫০,০০০ নর নারীকে হত্যা করে মন্দিরের সর্বস্ব লুঠ করে সর্বশেষ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে সোমনাথ মন্দির।
(Muslim Arabs came and built mosques, and sometimes preached their religion, and sometimes even converted people.
There seems to have been no objection to this in those days, no trouble or friction between Hinduism and Islam It was only when in the eleventh century Islam came to India in the guise of a conqueror, sword in hand, that it produced violent reaction, and the old toleration gave way to hatred and conflict.
This weilder of the sword who came to India with fire and slaughter was Mahmud of Ghazni-Year after year he raided India and sacked and killed and took away with him vast treasure and large number of captives.
Altogether he made seventeen raids and only one of these into Kashmir – was a failure…..and he became
রেফারেন্সঃ
1. Dr. Titus Indian Islam. P-22-23 Quoted from Dr. BR Ambedkar-Writings and Speeches. Vol-8, P-58
a terror all over the north……..From Thaneswar he took away, it is said 2,00,000 captives and vast wealth. It is said that thousands of people took refuge in the temple when Mahmud approached, in the hope that a miracle would happen and the god they worshipped would protect them.
But miracles seldom occur, except in the imaginations of the faithful, and the temple was broken and looted by Mahmood and 50,000 people perished–)
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (AMU) অধ্যাপক প্রয়াত মহম্মদ হাবিব (ইরফান হাবিবের পিতা) Sultan Mahmud of Ghazni বইতে হিন্দুস্থানে গজনীর সুলতান মাহমুদের জেহাদের সবিস্তার বর্ণনা করেছেন।
তাঁর মতে ধর্মীয় প্রেরণা নয় বিপুল ঐশ্বর্যের লোভেই গজনীর সুলতান মাহমুদ সোমনাথ আক্রমণ করেন।
গজনীর সুলতান মাহমুদের বিজয় বার্তা পেয়ে বাগদাদের খলিফা (মুসলিম জগতের ধর্মগুরু) বিশাল উৎসবের আয়োজন করেন।
সেখানে মামুদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়। তাঁকে তুলনা করা হয় পয়গম্বরের ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুসলিম যোদ্ধাদের সঙ্গে যাঁদের শৌর্যে পরাজিত হয়েছে আরবিয়া, সিরিয়া, ইরান ও ইরাক।
মহম্মদ হাবিবের বর্ণনা থেকে জানা যায়, মামুদ হিন্দুস্থানের বেথেলহেম প্রাসাদনগরী মথুরার বিস্ময়কর স্থাপত্যে মুগ্ধ হয়েও প্রায় ১০০০ মন্দির ধ্বংস করেন।
গজনীর সুলতান মাহমুদের হিন্দুস্থান অভিযানের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণে মহম্মদ হাবিবের সঙ্গে নেহেরুর বিস্ময়কর ঐক্যমত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
নেহেরু লিখেছেন, ইসলামের একজন মহান বীর রূপেই গজনীর সুলতান মাহমুদ পরিচিত, যিনি ভারতে এসেছিলেন ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে।
অধিকাংশ মুসলমান তাঁকে শ্রদ্ধা কর তেমনি অধিকাংশ হিন্দু তাঁকে ঘৃণা করে। অবশ্যই ধর্মে তিনি ছিলেন মুসলমান কিন্তু তা নেহাতই নৈমিত্তিক বা দৈব।
সর্বোপরি তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ সৈনিক। দুর্ভাগ্যক্রমে সৈনিকরা যা করে, তিনিও ভারতে এসেছিলেন জয় ও লুঠ করতে।
তিনি অন্য ধর্মাবলম্বী হলেও এই কাজই করতেন।
(He is looked upon as a great leader of Islam who came to spread Islam in India. Most Muslims adore him, most Hindus hate him.
As a matter of fact, he was hardly a religious man. He was a Mahammedan, of course, but that was by the way.
Above everything he was soldier, and a brilliant soldier. He came to India to conquer and loot, as soldiers unfortunately do, and he would have done so
রেফারেন্সঃ
1. Pt. Nehru – Glimpses of World History, P-154 155
2. Arun Shourie and others-Hindu Temples-What Happened to Them, P-20.
to whatever religion he might have belonged.)
ধর্মপ্রচার নয় গজনীর সুলতান মাহমুদ হিন্দুস্থানে এসেছিলেন ঐশ্বর্যের লোভে লুঠ করার জন্য, নেহেরু ও মহম্মদ হাবিবের এই মত কতটা যুক্তিগ্রাহ্য?
যেমন মন্দির তেমনি বড় বড় মসজিদেরও ছিল প্রভূত সম্পদ।
কিন্তু গজনীর সুলতান মাহমুদ কেন, কোনো মুসলমান আক্রমণকারী কখনও কোনো মসজিদ আক্রমণ করেনি।
দ্বিতীয়ত, উদ্দেশ্য শুধুমাত্র লুণ্ঠন হলে মন্দিরে আশ্রিত প্রাণভয়ে ভীত ৫০,০০০ হিন্দুকে সোমনাথ মন্দিরে হত্যা করা হত না।
তৃতীয়ত, সোমনাথ ও অন্যান্য মন্দিরের বিগ্রহ ভেঙে গজনী, মক্কা মদিনার মসজিদের সোপানশ্রেণিতে বসানোর উদ্দেশ্য হিন্দুর ধর্মবোধকে চূড়ান্ত অপমান করা তাঁর মর্মে আঘাত দেওয়া, লুণ্ঠন নয়।
পণ্ডিত নেহেরুর বিশ্লেষণে সুচিন্তিত অভিমতের অভাব লক্ষণীয়। স্ব বিরোধিতা সুস্পষ্ট।
তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী এদেশে আরব মুসলমানের অবাধ যাতায়াত আগে থেকেই ছিল। তারা মসজিদ নির্মাণ করত ধর্ম প্রচার ও ধর্মান্তরও করত।
কিন্তু হিন্দু মুসলমানে কোনো সংঘাত হয়নি। একাদশ শতাব্দীতে যখন ইসলাম এদেশে এল মুক্ত কৃপাণ হাতে বিজয়ীর ছদ্মবেশে তখনই দেখা দিল প্রবল বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
কে এই তলোয়ার ধারী ছদ্মবেশী? গজনীর সুলতান মাহমুদ।
পণ্ডিত নেহেরুর ভাষায়, অধিকাংশ মুসলমান তাঁকে শ্রদ্ধা করে, অধিকাংশ হিন্দু তাঁকে করে ঘৃণা। মুসলমান তাঁকে শ্রদ্ধা করে কেন? লুণ্ঠনের জন্য?
লুণ্ঠনের ভাগ পায় সৈন্যরা, সাধারণ মুসলমান নয়। সুতরাং তা শ্রদ্ধার কারণ হতে পারে না।
নির্বিচারে ব্যাপক হত্যা, ধ্বংস ও ইসলামে ধর্মান্তর মামুদকে মুসলমানের নিকট গৌরব ও শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছে।
কারণ এই কাজে ইসলামের মহিমা প্রচার হয়, হয় অগ্রগতি। নির্মূল হয় কাফেরের ধর্ম।
আর ঠিক এই কারণেই হিন্দু মানসে দেখা দেয় প্রবল বিরূপ প্রতিক্রিয়া হিন্দু তাঁকে করে ঘৃণা।
দ্বিতীয়ত, ভারতবর্ষ সুপ্রাচীন কাল থেকে বহির্বিশ্বে পরিচিতি হিন্দুস্থান। সকল মুসলমান ঐতিহাসিক ও বিজেতাগণ এদেশকে হিন্দুস্থান নামেই অভিহিত করেছে।
India নামের প্রচলন ইংরেজ শাসনকালে। সিন্ধু ভাষা ও উচ্চারণগত কারণে পারসিকদের নিকট হয় হিন্দু, গ্রিকদের ইন্দু (Indu Indus valley civilization) সর্বশেষ ইংরেজদের কাছে India. সিন্ধু হিন্দু ইন্দু ইন্ডিয়া।
কিভাবে মুঘলদের হাত থেকে বাঁচতে রাণী পদ্নাবতী ৬০০০০ সঙ্গী সহ আগুনে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, দেখুন ভিডিও!
গজনীর সুলতান মাহমুদের সভার ঐতিহাসিক উত্তী (Utbi) বলেন, নিজ বিশ্বাস ও ধর্মের প্রতি মামুদ মহৎ কর্তব্য পালন করে গেছেন।
মুসলিম ঐতিহাসিক সুপণ্ডিত অলবেরুনী মামুদের সমসাময়িক। মানুদের অত্যাচার সম্পর্কে তিনি বলেন, হিন্দুদের যেন ধূলিকণার মত, পুরাতন জনশ্রুতির মতো চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বিক্ষিপ্ত অবশেষ মুসলমানদের উপর গভীর ঘৃণা পোষণ করে।
রেফারেন্সঃ
1. Pt. Nehru Glimpses of World History, P. 155
2. পণ্ডিত নেহেরু ভারত সন্ধানে, পূঃ ১৯৮
সচেতনভাবেই India বা ভারত এই শব্দ ব্যবহার করেছেন। হিন্দুস্থানের পরিবর্তে India শব্দের প্রয়োগ উদ্দেশ্যপূর্ণ।
১০১৭ খ্রিঃ কনৌজ আক্রমণ করে মামুদ এত সম্পদ ও যুদ্ধ বন্দী গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন যে তা গুণে শেষ করা যায়নি।
এই সকল বন্দীদের দাস বাজারে (Slave market) বিক্রি করা হত। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা এত বেশি ছিল যে ক্রেতার অভাব দেখা দেয়।
তখন তাঁদের নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হত। সমসাময়িক ঐতিহাসিক বিবরণী উদ্ধৃত করে Dr. Titus বলেছে, যুদ্ধ বন্দীদের বিক্রি করা হত ২-১০ দিনারে (১ দিনারের মূল্য ৫০/৬০ পয়সা)।
এর থেকেই যুদ্ধ বন্দীর সংখ্যা সম্বন্ধে একটা ধারণা করা সম্ভব। এই বন্দীদের নিয়ে যাওয়া হত গজনীতে।
তাঁদের কেনার জন্য দূরদেশ থেকে আসত বণিকের দল। সুন্দর কুৎসিত, ধনী দরিদ্র সকলেরই হল এক পরিণতি দাসত্ব।
(The number of prisoners may be conceived from the fact that each was sold for from two to ten dirhams.
These were afterwards taken to Ghazni, and merchants came from far distant cities to purchase them, and the fair and the dark, the rich and the poor were comingled in one common slavery.)।
সাহিবে কমলের (Sahibe Kamal) লেখক দৌলত রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, গজনীর সুলতান মাহমুদ লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করে।
আরও লক্ষ লক্ষকে দাস দাসী করে গজনীর বাজারে বিক্রি করে মাথা পিছু ২ দিনার মূল্যে।
হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে প্রত্যেক মুসলিম আক্রমণকারীর লক্ষ্য ছিল যত বেশি সম্ভব মন্দির ধ্বংস করা, হিন্দু হত্যা করে হিন্দুস্থানকে পৌত্তলিকতার পাপ থেকে মুক্ত।
শুধু গজনীর সুলতান মাহমুদ নয়, সকল মুসলিম বিজয়ী বীরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসলামের মহিমা, বিশ্বব্যাপী আল্লাহর মাহাত্ম্য প্রচার।
পয়গম্বদের তিরোধানের পর ইসলামের রণোন্মত্ত বাহিনী পূর্বে ও পশ্চিমে অভিযান করে। পূর্বে হীরাট, কাবুল ও সিন্ধু পর্যন্ত অধিকার করে।
পশ্চিম দিকে সেনাপতি ওকবা (Okba) মরোক্কোর পঃ উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে উপস্থিত হন।
কিন্তু হতাশ হন সম্মুখে দুরতিক্রম্য বাধা দেখে। তবু তিনি সাগর পাড়ি দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু অনস্ত জলরাশি, ভূ-ভাগের চিহ্নমাত্র নেই।
অবশেষে পরমশক্তিমান আল্লার নিকট আক্ষেপ করে বলেন, এদিকে আর কোন দেশ নেই যা সে তাঁর (আল্লার) নামে জয় করতে পারেন।
(General Okba went right across northern Africa till he reached the Atlantic ocean, on the western coast of what is now known as Morocco.
He was rather disappointed at the Obstacle, and he rode as far as he could into the sea, and then expressed his sorrows to the Almighty that there was no more land in that direction for him to conquer in his name.)
রেফারেন্সঃ
1. Dr. Titus Indian Islam, P-26
Quoted from Dr. B. R. Ambedkar-Writings and Speeches Vo -8, P-61 2. Daulat Roy – Sahibe Kamal, P-4 Pt. Nehru Glimpses of World History, P-146
হিন্দু নর-নারীকে বন্দী করে আরবের দাস বাজারে (Slave Market) বিক্রি করা এবং যথেচ্ছ লুণ্ঠন করা। এ ব্যাপারে গজনীর সুলতান মাহমুদের ভূমিকা ইসলামের ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়।
ঐতিহাসিক Dr. Titus-এর ভাষায়—শুধু মন্দির ধ্বংস ও হত্যা নয়, বিজিতদের জন্য ছিল কঠিনতম শাস্তি দাসত্ব।
হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে জেহাদে আকৃষ্ট করার জন্য সেনাপতি ও সাধারণ সৈন্যদের লুণ্ঠনের ভাগ দেওয়া হত।
গজনীর সুলতান মাহমুদের প্রধান লক্ষ্য ছিল কাফেরদের নির্বিচার হত্যা, তাঁদের মন্দির ধ্বংস, লক্ষ লক্ষ হিন্দু নর-নারীকে বন্দী করা এবং লুণ্ঠন। প্রথমবার ভারত আক্রমণেই মামুদ ৫০,০০০ হিন্দুকে বন্দী করে গজনীতে নিয়ে যান
(Not only was slaughter of the infidels and the destruction of their temples resorted to in earlier period of Islamic contact with India, but as we have seen, many of the vanquished were led into slavery. The dividing up of booty was one of the special attraction, to the leaders as well as to the common soldiers in these expeditions.
Mahamud seems to have made the slaughter of infidels, the destruction of their temples the capturing of slaves and the plundering of the wealth of the people, particularly of the priests, the main object of his raids.
On the ocassion of his first raid he is said to have taken much booty, and half a million Hindus, ‘beautiful men and women’ were reduced to slavery and taken back to Ghazni)’
ঐতিহাসিক Will Durant বলেন সব সময়ই তিনি অধিকৃত রাজ্যের অধিবাসীদের নির্বিচারে হত্যা করতেন না। ক্রীতদাসরূপে বিক্রির জন্য তাদের বন্দি করে গজনীতে নিয়ে যেতেন।
কিন্তু তাদের সংখ্যা এত বেশি হল যে ক্রেতার অভাব দেখা দিল। মুষ্টিমেয় ক্রেতা যারা দাস বাজারে আসত তারা ক্রীতদাসের মাথাপিছু দাম দিত মাত্র কয়েক শিলিং।
প্রতিবার অভিযানের পূর্বে মামুদ নতজানু হয়ে আল্লাহ্র দোয়া প্রার্থনা করতেন। সুদীর্ঘকাল রাজত্বের পর তাঁর গৌরবোজ্জ্বল বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান ঘটে ১০৩০ খ্রিঃ।
মুসলিম ঐতিহাসিকদের বিচারে মামুদ ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট।
(Sometimes he spared the population of ravaged cities and took them home to be sold as slaves; but so great was the number of such captives that after some years no one could be found to offer more than a few shillings for a slave.
Before every important engagement,
1. Dr. Titus Indian Islam, P-24 Quoted from Dr. B. R. Ambedkar-Writings and Speeches Vo -8, P-61
Mahmud knelt in prayer, and asked the blessing of God upon his arms…. He reigned for a third of a century, and when he died, full of years and honours, Moslem historians ranked him as the greatest monarch of his time, and one of the greatest sovereigns of any age.)
1. Will durant- the story of civilization. P-460.
মূল বইঃ মুসলিম শাসন ও ভারতবর্ষ [৫৫-৬৫ পৃঃ
অসধারণ
Pingback: প্রথম অস্ত্রোপচারের জনক মহর্ষি সুশ্রুত |
Pingback: মুঘলদের কট্টর শত্রু ছিলেন বাপ্পা রাওয়াল |
Pingback: ভারতীয় ইতিহাসে কুখ্যাত তৈমুর লঙ
Pingback: গজনির সুলতান মামুদের ভারত আক্রমণের ইতিহাস
Pingback: রাজা প্রতাপাদিত্য | বাংলার শিবাজী | বাংলার বারোভুঁইয়া ও রাজা প্রতাপাদিত্য
Pingback: মহারাণী ভবশঙ্করী বাংলায় রায় বাঘিনী - ভূরশুট রাজ্য | Rani Vavashankari History - shivrupi
Pingback: বাংলা সনের প্রবর্তক কে? | বাংলা সনের ইতিহাস | বাংলা মাসের উৎপত্তি - shivrupi
Pingback: রাজা মিহির ভোজ | প্রতিহার বংশের কনৌজের শ্রেষ্ঠ রাজা - shivrupi
Pingback: গজনির সুলতান মামুদের ভারত আক্রমণের ইতিহাস
Pingback: ভারতের আলেকজান্ডার ললিতাদিত্য মুক্তিপিদা | কাশ্মীরের ইতিহাস